Publish: Thursday, 30 October, 2025, 11:31 PM				
				
								
				
			 
					
সঞ্চয়পত্রের সার্ভার জালিয়াতি করে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। এটা হ্যাকিং কিনা, তা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই মধ্যে এই বিভাগের তিন কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একইসাথে সন্দেহভাজন তিনটি ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। আর সাইবার নিরাপত্তা আইনে মতিঝিল থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় দুইটি কমিটি তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সঞ্চয়পত্র থেকে ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চক্রটি বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভার হ্যাক করে তথ্য পরিবর্তন করেছে। পরে এনআরবিসি ব্যাংকের দিনাজপুরের একটি উপ-শাখায় টাকা স্থানান্তর করে। আবার একইদিনে চক্রটি রাজধানীর শ্যামলী শাখায় টাকা স্থানান্তর করে টাকা তুলে নেয়। একই প্রক্রিয়ায় একই দিনে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে ৩০ লাখ ও এনআরবি ব্যাংকের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ভাঙানোর চেষ্টা করা হয়। তবে লেনদেনগুলো বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দীকী বলছেন, 'পাসওয়ার্ডগুলো কম্প্রোমাইজড হয়েছে। এগুলো কম্প্রোমাইজড হয়েছে বলেই জানানো হয়েছে। সেই হিসেবেই তদন্ত চলছে যে, এটি কোথা থেকে হলো এবং কীভাবে হলো তা জেনে তদন্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়।'
দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোতে যখন সাইবার নিরাপত্তা বাড়াতে জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ঠিক তখনই বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে এই জালিয়াতি হয়েছে। এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় মামলা হয়েছে।
মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন বলেন, 'বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকের তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে সার্ভার থেকে। বিস্তারিত তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।'
গত ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় থেকে এক ব্যক্তি ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কেনেন। তার চারদিন পরই ঘটে সঞ্চয়পত্রের টাকা চুরির ঘটনা।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ