Publish: Wednesday, 22 October, 2025, 8:09 AM

দেশের আমদানি-রপ্তানির ৯২ শতাংশ পরিবাহিত হওয়া চট্টগ্রাম বন্দর সম্প্রতি বিভিন্ন সেবায় গড়ে ৪১ শতাংশ ট্যারিফ বৃদ্ধি করায় বন্দর ব্যবহারকারীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ধিত ট্যারিফের কারণে বন্দর অচল হলে দায় সরকারকে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বন্দর কর্তৃপক্ষের এই ট্যারিফ বৃদ্ধির প্রতিবাদে যানবাহন মালিক শ্রমিকরা ১৯ অক্টোবর বন্দর গেট পাস ফি বর্ধিত অংশ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে ১৮ অক্টোবর ব্যবসায়ী নেতারা সাত দিনের মধ্যে ট্যারিফ বিষয়ে সমাধান না হলে বন্দর বন্ধের হুমকি দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির পরিচালক এস এম আবু তৈয়ব বলেন, “বন্দর কর্তৃপক্ষ কিছু ক্ষেত্রে ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত ট্যারিফ বৃদ্ধি করেছে। আমরা ব্যবসায়ীরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছি এবং দ্রুত বর্ধিত ট্যারিফ স্থগিত করার দাবি জানাচ্ছি।”
সিকম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আমিরুল হক ও বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনো আলোচনার সুযোগ না দিয়ে ট্যারিফ বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে সমালোচনা করেছেন। তারা বলেছেন, এই বাড়তি মাশুল ব্যবসায়িক পরিবেশ ও দেশের অর্থনীতির জন্য হুমকি স্বরূপ।
বর্ধিত ট্যারিফ প্ল্যান অনুযায়ী, ৫৬টি সেবার বিপরীতে গড়ে প্রায় ৪১ শতাংশ মাশুল বাড়ানো হয়েছে। কিছু কিছু সেবায় মাশুল দ্বিগুণ থেকে চার গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। পণ্যভর্তি প্রতি টিইইউস (২০ ফুট একক) কনটেইনারে বর্তমানে গড়ে মাশুল নির্ধারিত হয়েছে ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা, যা আগে গড়ে কনটেইনারপ্রতি ছিল ১১ হাজার ৮৪৯ টাকা। নতুন ট্যারিফ রেট অনুযায়ী, কনটেইনার ওঠানো-নামানোতে আগের ৪৩ দশমিক ৪০ ডলার চার্জ বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬৮ ডলার।
বর্তমানে বন্দর সংকটে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা এক সপ্তাহের আলটিমেটাম দিয়ে বন্দরের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চান।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ