দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরও শক্তিশালী হয়ে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এর প্রভাবে আজ মঙ্গলবার থেকেই বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর। সমুদ্রবন্দরগুলোকে সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক জানান, দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সকাল ৬টায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি বর্তমানে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় (১৪.৬° উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৩.০° পূর্ব দ্রাঘিমাংশে) অবস্থান করছে। সন্ধ্যা বা রাত নাগাদ এটি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আগামীকাল বুধবার (২৯ অক্টোবর) থেকে দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে বৃষ্টি বাড়বে। রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণও হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ও পরবর্তী কয়েকদিনও বৃষ্টির প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও ভারী বর্ষণও হতে পারে। এ সময় সারাদেশে তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ও শনিবার (১ নভেম্বর) পর্যন্তও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বর্ধিত পাঁচ দিনের প্রথম দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কিছুটা কমে আসতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ