Publish: Wednesday, 3 September, 2025, 11:31 PM

মহেশখালী-মাতারবাড়ি সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প (মিডা) সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে এটি দেশের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্যিক কেন্দ্রে রূপান্তরিত হবে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত মিডা স্ট্র্যাটেজিক ভিশনে জানানো হয়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে লজিস্টিকস, শক্তি ও বিদ্যুৎ, উৎপাদন এবং মৎস্য শিল্পকে একই জায়গায় একীভূত করা হবে। মূল লক্ষ্য হলো গভীর সমুদ্রবন্দর, এনার্জি টার্মিনাল, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোকে সংযুক্ত করে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে জ্বালানি ও লজিস্টিকসের কাছাকাছি সুবিধা দেওয়া।
প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে—আগামী ২০-৩০ বছরে আসবে ৬ হাজার থেকে সাড়ে ৬ হাজার কোটি ডলারের বিনিয়োগএর মধ্যে প্রায় ৪,৭০০-৪,৮০০ কোটি ডলার বেসরকারি বিনিয়োগ এবং ৪,৮০০ কোটি ডলার সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)দেশের জিডিপিতে পড়বে প্রায় ১৫ হাজার কোটি ডলারের প্রভাবসৃষ্টি হবে দেড় লাখ সরাসরি ও ২৫ লাখ পরোক্ষ কর্মসংস্থান
এছাড়া কক্সবাজারের অর্থনীতি ও পর্যটন খাতেও এর বড় প্রভাব পড়বে। পর্যটক সংখ্যা বর্তমানে থেকে দেড় গুণ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
মিডার চারটি প্রধান স্তম্ভ নির্ধারণ করা হয়েছে— বন্দর ও লজিস্টিকস, উৎপাদন, বিদ্যুৎ ও শক্তি, এবং মৎস্য খাত। এর মধ্যে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর হবে মূল কেন্দ্রবিন্দু, যেখানে প্রায় ১৮.৫ মিটার গভীরতায় বড় জাহাজ সরাসরি নোঙর করতে পারবে। এর ফলে শিপিং খরচ কমে আসবে, যা সাধারণ পণ্যের দামেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
জাইকার গবেষণা অনুযায়ী, মাতারবাড়ি বাংলাদেশের মোট বাল্ক কার্গোর ২৫ শতাংশ এবং কনটেইনার কার্গোর ৪৫ শতাংশ বহন করবে। একইসঙ্গে বিদ্যুৎ ও নতুন শিল্প উৎপাদনের সুযোগ বাড়বে, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের উৎপাদনে প্রায় ১০ শতাংশ অবদান রাখবে।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ