এক ম্যাচ বাকি থাকতেই তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারল বাংলাদেশ। জয়ের দারুণ সম্ভাবনার পরও শেষ দিকে খেই হারাল টাইগাররা।
শেষ ওভারে দরকার ছিল ২১ রান, কিন্তু স্পিনার আকিল হোসেনের কাছ থেকে একটি বাউন্ডারিও বের করতে পারেনি বাংলাদেশ। উল্টো রিশাদ আর ষষ্ঠ বলে নাসুম আউট হয়েছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৪৯ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ২০ ওভারে থেমেছে ৮ উইকেটে ১৩৫ রানে। ১৪ রানের হারে সিরিজ হাতছাড়া হয়ে গেছে টাইগারদের।
রান তাড়ায় দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। বাকি সাত ব্যাটসম্যানের ব্যর্থতায় ৮৯ রানও করা সম্ভব হয়নি। যে কারণে ১৪ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করে উইন্ডিজ। দলের হয়ে ৩৬ বলে তিন চার আর তিন ছক্কার সাহায্যে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন অধিনায়ক শাই হোপ। এছাড়া ৩৩ বলে ৫টি চার আর ৩টি ছক্কার সাহায্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন ওপেনার আলিক অ্যাথানেজ।
বাংলাদেশ দলের হয়ে ৪ ওভারে ২১ রানে ৩ উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২০ রানে ২ উইকেট নেন রিশাদ হোসেন। আর ৩৫ রানে ২ উইকেট নেন নাসুম আহমেদ।
টসের সময় লিটন বলেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৮০ রানের আশপাশে আটকে রাখলে তাড়া করার ভালো সুযোগ থাকবে। বোলাররা ক্যারিবীয়দের দেড় শর মধ্যে আটকে দিয়ে ব্যাটসম্যানদের কাজটা আরও সহজ করে তুলেছিলেন।
এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডাররাও বাংলাদেশকে সেই সুযোগ দিয়েছিলেন। সফরকারীরা ক্যাচ মিস করেছেন চারটি। তবে সুযোগ পেয়েও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি সাইফ, লিটন, হৃদয় ও তানজিদ। এর মধ্যে ৪৪ রানে জীবন পেয়ে ৬১ রান পর্যন্ত যেতে পারা তানজিদই দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের মালিক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লিটনের ২৩।
১৬ ওভার শেষেও বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা ছিল ভালোমতোই। ২৪ বলে দরকার ছিল ৪২ রান, হাতে ছিল ৭ উইকেট। কিন্তু শেষ চার ওভারের মধ্যে সর্বোচ্চ রান ৯। শেষ তিন ওভারে এসেছে যথাক্রমে ৭, ৫ ও ৬ রান। ম্যাচটা বাংলাদেশ হেরেছে এখানেই।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ