কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস নেতৃত্বের ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ ঘটনায় বিশ্বব্যাপী তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।
হামাস জানিয়েছে, এ হামলায় সংগঠনের পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে হামাস নেতা খলিল আল-হায়্যার ছেলে রয়েছেন। কাতারের নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্যও এ হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। খবর আল জাজিরার।
কাতার এই হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ বলে আখ্যা দিয়েছে এবং জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো ধরনের পূর্ব সতর্কতা পায়নি তারা।
এদিকে গাজায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) আরও অন্তত ৫২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নয়জন খাদ্য সহায়তা নিতে গিয়ে প্রাণ হারান।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৪ হাজার ৬০৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬৩ হাজার ৩১৯ জন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও বহু মানুষ চাপা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে, কাতারে ইসরায়েলি হামলার পর একাধিক ডেমোক্র্যাট নেতারা সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। তাদের অভিযোগ, ইসরায়েলের প্রতি ট্রাম্পের ‘ছাড় দেওয়া নীতি’ এই হামলার পেছনে দায়ী।
টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধি লয়েড ডগেট এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, নেতানিয়াহু যুদ্ধ বন্ধে “একেবারেই কোনো আগ্রহ দেখাননি।”
তিনি আরও বলেন, “ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অত্যন্ত দুর্বল এবং তিনি আমাদের আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বজায় রাখতেও দুর্বল।”
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ