রাজধানীর লালবাগ শহীদনগরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ হোসেন (২৫) নামে এক কারখানা কর্মচারীকে খুন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে৷ মুমূর্ষু অবস্থায় হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে স্বজনরা। পরে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা বন্ধু মো. আব্দুল রাকিব জানান, ‘গতকাল সোমবার রাতে ২ নম্বর গলি দিয়ে যাচ্ছিল হোসেন ও তার বন্ধু নীরব। তখন নীরবের হাতে একটি লোহার পাইপ ছিল। নীরবের কাছে সেই পাইপ চায় স্থানীয় আবির (২৮) নামে তাদেরই সমবয়সী আরেক যুবক। তখন পাইপ দিতে না চাইলে আবির নীরবকে কয়েকটি চর থাপ্পর মারে। তখন তার প্রতিবাদ করে আবিরকে চড় মেরেছিল হোসেন।’
তিনি জানান, ‘রাতে ওই ঘটনার পর স্থানীয় বড় ভাইয়েরা মিলে তাদেরকে ডেকে মীমাংসা করে দেয়৷ এরপর আজ দুপুরে কারখানায় কাজ শেষ করে খাবার খেতে হেঁটে বাসায় আসছিল হোসেন। শহীদনগর ২ নম্বর গলিতে দুলালের দোকানের সামনে তখন ওঁৎ পেতে থাকা আবির সুইচ গিয়ার (ধারালো ছুরি) দিয়ে তার পেটে ৫-৬টি আঘাত করে। তখন আশপাশে থাকা লোকজন তাকে ধরে ফেলে। আর আহত হোসেনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।’
নিহত মোহাম্মদ হোসেনের বোন সুরাইয়া আক্তার জানান, ‘তারা শহীদনগর ২ নম্বর গলিতে থাকেন। বাসার পাশেই গহনা তৈরির কারখানায় কাজ করে হোসেন। তাদের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলায়। তার বাবার নাম শাহআলম। জানতে পেরেছি আবির নামে এক ছেলে তার ভাইকে ছুরিকাঘাত করেছে। তবে কি কারনে ছুরিকাঘাত করেছে তা জানেন না তিনি।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই যুবকের বুকে ও পেটে ছুরিকাঘাত রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি লালবাগ থানায় অবগত করা হয়েছে।
লারবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াসিন আলী জানান, শহীদনগরে মারামারির ঘটনায় একটা ছেলে হাসপাতালে মারা গেছে জানতে পেরেছি। ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ