কুয়াশা আর শীতল বাতাস সঙ্গী করে দাপটে রয়েছে শীত। বিশেষ করে রাতের বেলায় ক্ষণে ক্ষণে বয়ে যাওয়া হিমেল হওয়া জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে শীতের আগমনের। এ অবস্থার মধ্যেই সোমবার (৮ ডিসেম্বর) মৌসুমের সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।
এর আগে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ও রোববার (৭ ডিসেম্বর) রেকর্ড হয়েছিল সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে রেকর্ড করা হয় ২৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি। অন্য দিনের মতো সোমবার ভোরেও সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়লে কমতে থাকে শীতের তীব্রতা।
উত্তরের এই শীতপ্রবণ এলাকায় রাতের (সর্বনিম্ন) তাপমাত্রা ক্রমাগত কমে যাওয়ায় কয়েকদিন ধরে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন বিকেলের পর থেকে উত্তরের হিমেল বাতাস আর হালকা থেকে ঘন কুয়াশার কারণে কনকনে শীত অনুভূত হয়। রাতভর ঘনকুয়াশায় ঢেকে থাকে এলাকা। তবে ভোরের দিকে সূর্য উদয়ের সঙ্গে কমতে থাকে ঠান্ডার অনুভূতি। রোদের জন্য সকাল থেকে দুপুরের পর পর্যন্ত স্বস্তি মেলে। বিকেলের পর থেকে আবারো শুরু হয় কনকনে শীত। তীব্র শীত অনুভূত হয় পরদিন সকাল পর্যন্ত। সকালের তীব্র শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে সকালে কাজের খোঁজে বের হওয়া কর্মজীবী মানুষের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, সোমবার সকাল ৯টায় চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বেড়েছে। ২৬ দশমিক ৫ থেকে বেড়ে রেকর্ড করা হয়েছে ২৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৪ শতাংশ। রোববার সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায়। দুয়েক দিনের মধ্যরাত ও দিনের তাপমাত্রা আবারো কমতে পারে।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ