Publish: Saturday, 25 October, 2025, 12:16 AM

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া (কেপি) প্রদেশে পরপর দুটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রথম বিস্ফোরণে কোনো হতাহত না হলেও দ্বিতীয় বিস্ফোরণে অন্তত তিন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন এসপি (অপারেশনস) আসাদ জুবায়ের।
স্থানীয় গণমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) হাঙ্গু জেলায় এই হামলায় আরো তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে হাঙ্গুর ঘুলমিনা এলাকায় একটি পুলিশ চেকপোস্টের পাশে, যেখানে কোনো হতাহত হয়নি। এরপর দারবন্দ এলাকায় দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে, যা এসপি আসাদ জুবায়েরের গাড়িকে লক্ষ্য করে চালানো হয়। ঘটনাস্থলটি প্রথম বিস্ফোরণের স্থান থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে।
খাইবার পাখতুনখোয়ার পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জুলফিকার হামিদ বলেন, ‘এসপির দলটি প্রথম বিস্ফোরণের স্থান পরিদর্শনে যাচ্ছিল, সেই সময় তাদের গাড়ি আইইডি হামলার শিকার হয়। এতে এসপি আসাদ জুবায়ের ও দুই পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। আহতদের দ্রুত হাঙ্গু জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
ঘটনার পরপরই বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ও পুলিশ কমান্ডোরা এলাকায় অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ কর্মকর্তা খানজেব মোহমান্দ।
এদিকে দেশটির রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘ভারত-সমর্থিত খাওয়ারিজ সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি শহিদ পুলিশ সদস্যদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে বলেন, ‘জুবায়ের এবং দুই পুলিশ সদস্যের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। তারা শহিদের সর্বোচ্চ মর্যাদা অর্জন করেছেন।’
২০২১ সালে আফগান তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে পাকিস্তানে সীমান্তবর্তী প্রদেশ কেপি ও বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এ দুই প্রদেশেই দেশটির প্রায় ৯৬ শতাংশ সহিংসতার ঘটনা ঘটে থাকে। শুধু ২০২৫ সালের প্রথম আট মাসেই কেপিতে ৬০০টিরও বেশি সন্ত্রাসী হামলা সংঘটিত হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১৩৮ জন বেসামরিক নাগরিক ও ৭৯ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ