অবরোধের প্রায় ৫ ঘণ্টা পর রাজধানীর বনানীর সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা। রবিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে তারা সড়ক ছাড়লে সাড়ে ৬টায় মহাখালী রুটে যান চলাচল শুরু হয়।
এর আগে, রাজধানীর বাইরের সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকদের অবরোধের কারণে দুপুর দেড়টা থেকে মহাখালী রুটে ইনকামিং ও আউটগোয়িং বন্ধ হয়ে যায়।
আন্দোলনরত সিএনজিচালকদের দাবি, ঢাকা জেলার অন্তর্গত সিএনজিগুলোকে ঢাকা মহানগরে চলতে দিতে হবে। এর জন্য কোনো ধরনের মামলা দিতে পারবে না ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। সকাল ১০টা থেকে বিআরটিএর সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান নেওয়া শুরু করেন ঢাকা জেলা সিএনজি অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটির অন্তর্গত সিএনজিচালকরা। এতে করে মহাখালীগামী সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়।
একপর্যায়ে আন্দোলনরত চালকরা বিআরটিএ ভবন ঘেরাও করে রাখেন। তারা কাউকে ভেতরে ঢুকতে বা ভেতর থেকে বাইরে বের হতে দিচ্ছিলেন না।
জানা গেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর ৩০-৪০ জন সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে তাদের হস্তক্ষেপে যান চলাচল শুরু হয়।
এর আগে, সড়ক অরোধের কারণে যান চলাচল বন্ধ হয় বলে এক ফেসবুক পোস্টে জানান সার্জেন্ট আনিসুর রহমান। এ অবস্থায় গাড়ি চলাচলে বিশেষ নির্দেশনাও দেন তিনি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ