যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলি তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাস। উপত্যকায় নাজুক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বিষয়ে হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে দোষারোপ করেই চলছে। 
এই পরিস্থিতির মধ্যেই গতকাল রোববার ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মৃতদেহ হস্তান্তর করল হামাস। এই তিনটি দেহ সেই ১১ জন জিম্মির মধ্যে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যাদের মৃতদেহ ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী গাজা থেকে চাইছে। এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, গাজার মধ্যে রেডক্রসের মাধ্যমে তিন জিম্মির দেহবাহী কফিন গ্রহণ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। দেহগুলো শনাক্তকরণের জন্য ইসরায়েলে নেওয়া হবে।
ইসরায়েল বলছে, হামাস মৃতদেহগুলো হস্তান্তর করতে খুব ধীরগতিতে কাজ করছে। আর হামাস বলছে, কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও যত দ্রুত সম্ভব কাজ করছে তারা।
এই বিষয়টি ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতির পুরো বাস্তবায়নকে আটকে রাখা বিতর্কগুলোর একটি।
এর আগে রোববার উত্তর গাজায় এক ইসরায়েলি বিমান হামলায় একজন নিহত হয়। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের বিমান এমন এক যোদ্ধাকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে যিনি তাদের বাহিনীর জন্য হুমকি ছিলেন। গাজা সিটির শেজাইয়া এলাকার একটি সবজি বাজারের কাছে বিমান হামলায় একজন নিহত হয়েছে বলে আল-আহলি হাসপাতাল জানিয়েছে।
হামাস যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। গাজা সরকারের মিডিয়া অফিসের পরিচালক ইসমাইল আল-থাওয়াবতা অস্বীকার করেছেন যে, হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ করে যুদ্ধবিরতি ভেঙেছে।
তবে যুদ্ধবিরতির ফলে বেশিরভাগ সংঘর্ষ থেমে গেছে। গাজার ধ্বংসস্তূপে নিজেদের বাড়িতে ফিরেছে শত শত ফিলিস্তিনি। ইসরায়েল শহরগুলোর অবস্থান থেকে সেনা সরিয়েছে এবং আরও বেশি মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে।
গাজায় আটক থাকা ২০ জীবিত জিম্মিকেই মুক্তি দিয়েছে হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলে আটক প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি ও যুদ্ধকালীন আটক ব্যক্তি ছাড়া পেয়েছে।
যুদ্ধবিরতির অধীনে হামাস আরও সম্মত হয়েছে ২৮ জন নিহত জিম্মির মৃতদেহ হস্তান্তর করতে। এর বিনিময়ে যুদ্ধের সময় নিহত ৩৬০ ফিলিস্তিনি যোদ্ধার মৃতদেহ পাবে তারা। রোববারের আগে তারা ১৭টি মৃতদেহ হস্তান্তর করেছিল।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ