Publish: Tuesday, 4 November, 2025, 9:06 PM

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পুড়ে যাওয়া কার্গো কমপ্লেক্সের স্ট্রংরুম থেকে সাতটি অস্ত্র চুরির অভিযোগ উঠেছে। ভল্ট ভেঙে অস্ত্র চুরির ঘটনায় বিমান বাংলাদেশের তরফে গত ২৮ অক্টোবর বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভল্টে ২১টি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল, যার মধ্যে ১৪টি পাওয়া গেছে। সাতটি নিখোঁজ। যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অ্যাসল্ট রাইফেল ‘এম ফোর কার্বাইন’ ও ব্রাজিলের তৈরি টরাস পিস্তল। এ অস্ত্রগুলো কোনো বাহিনীর কি না তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এ ঘটনায় জিডি করেন শাহজালাল বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্বে থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) জামাল হোসেন। তিনি জিডিতে জানান, গত ২৪ অক্টোবর বিকেল সোয়া ৩টার দিকে কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার নেয়ামুল, বিমানের জিএম (কার্গো) নজমুল হুদা, এনএসআইয়ের অতিরিক্ত পরিচালক ফিরোজ রব্বানী, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পরিচালক ইফতেখার প্রমুখের উপস্থিতিতে মালামালের তালিকা করা হয়। পরে এসব মালামাল ভল্টে রেখে সবার উপস্থিতিতে শিকল দিয়ে তালা লাগিয়ে সিলগালা করা হয়।
জামাল হোসেন আরও জানান, তিনিসহ কর্তব্যরত ডিএমপির পুলিশ ও আনসার সদস্যরা গিয়ে সর্বশেষ ২৭ অক্টোবর রাত পৌনে ১০টার দিকে সিল-তালা দেখে এসেছিলেন। তবে পরদিন সকাল ৭টার দিকে বিমানের নিরাপত্তা শাখার ডিউটি অফিসার জাহাঙ্গীর আলম খানের মাধ্যমে তিনি জানতে পারি যে ওই স্ট্রংরুমের ভল্টের তালা লাগানো নেই। পরে তিনি বিষয়টি বিমানের ডিজিএমকে (সিকিউরিটি) জানিয়ে বিমানবন্দরে আসেন। সেখানে গিয়ে ভল্টের দরজায় কোনো তালা লাগানো দেখা যায়নি।
জানতে চাইলে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘আমরা জিডির তদন্ত করছি।’
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘অস্ত্র আদৌ চুরি হয়েছে কি না তা তদন্তের পরে জানাতে পারবো। চুরি হলে তখন কার মাধ্যমে হয়েছে এবং কে দায়ী তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এখনো প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি কয়টি অস্ত্র চুরি হয়েছে।’
গত ১৮ অক্টোবর দুপুরে শাহজালাল বিমানবন্দরে আমদানি পণ্য রাখার কার্গো কমপ্লেক্সে আগুন লাগে। পরে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ২৭ ঘণ্টা লেগে যায়। ওই ঘটনায় কেপিআইভুক্ত এ বিমানবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এখন সেখানকার ভল্ট ভেঙে অস্ত্র চুরির ঘটনা নিরাপত্তাকে ফের প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ