Publish: Tuesday, 4 November, 2025, 7:59 AM				
				
								
				
			 
					
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভুলভাবে উপস্থাপন বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার (০৩ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ শাখা থেকে এই বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক এক ফটো স্টোরি ফিচার বা  নিবন্ধে পার্বত্য চট্টগ্রামকে `অধিকৃত', `সামরিকীকরণ' বা `সামরিক শাসনাধীন' অঞ্চল হিসেবে ভুলভাবে উপস্থাপনের বিষয়টি বাংলাদেশ সরকার দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। এই ধরনের বর্ণনা প্রকৃত অর্থে ভুল, বিভ্রান্তিকর এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ এবং সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশি জাতির প্রতি অসম্মানজনক।
`১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম সর্বদা বাংলাদেশের সার্বভৌম ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এবং এখনও রয়েছে। এই অঞ্চলটি বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক কর্তৃত্বের অধীনে পরিচালিত হয়, সামরিক শাসনের অধীনে নয়। দেশের অন্যান্য অংশের মতোই শান্তি নিশ্চিত করতে, সকল নাগরিককে সুরক্ষা দিতে এবং স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নকে সমুন্নত রাখতে সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী উপস্থিত রয়েছে।'
এতে আরও বলা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামকে `পশ্চিম তীর' বা অন্য কোনও অধিকৃত ভূখণ্ডের সঙ্গে তুলনাকরণ সরকার স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে। এই ধরণের উপমা ভিত্তিহীন এবং বাস্তবতার চরম বিকৃতি। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন একক রাষ্ট্র এবং এর সার্বভৌম ভূখণ্ডের কোনও অংশই কোনও ধরণের দখলদারিত্বের অধীনে নেই। বাংলাদেশ মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে, অন্তর্ভুক্তিমূলক মনোভাব গড়ে তুলতে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল সম্প্রদায়ের কল্যাণ ও উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, `আমরা মানবাধিকার সংক্রান্ত যেকোনো অভিযোগের উপর বিশ্বাসযোগ্য, প্রমাণ-ভিত্তিক প্রতিবেদনকে স্বাগত জানাই। আজ পর্যন্ত এই অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক পদ্ধতিগত নির্যাতনের কোনও প্রমাণিত অভিযোগ বা যাচাইকৃত প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ শৈল্পিক সাংবাদিকতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে মূল্য দেয়। তবে এই ধরনের অভিব্যক্তি অবশ্যই দায়িত্ববোধ এবং তথ্যগত নির্ভুলতার উপর ভিত্তি করে অনুশীলন করতে হবে। আমরা সমস্ত মিডিয়া এবং সৃজনশীল প্ল্যাটফর্মকে জটিল ঐতিহাসিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটে প্রতিবেদন তৈরির সময় যথাযথ নিয়মকানুন, পেশাদারিত্ব এবং সংবেদনশীলতা অনুশীলন করার আহ্বান জানাই।'
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ