আফগানিস্তানের সঙ্গে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনা কার্যকর সমাধানে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। এর জেরে তাদের জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তারা।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) সামাজিক মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)- এ পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার এক পোস্টে এই ঘোষণা দেন।
আতাউল্লাহ তারার বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আফগানিস্তান থেকে কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি। তারা আলোচনার মূল বিষয় থেকে সরে গিয়ে দোষারোপ এবং ছলচাতুরী করেছে। এর ফলে আলোচনায় কোনো কার্যকর সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।’
তুরস্ক ও কাতারের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে চার দিনব্যাপী আলোচনা শেষে পাকিস্তান এই মন্তব্য করেছে। গত মাসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে বিস্ফোরণের দায় চাপায় তালেবান সরকার, যার পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে মারাত্মক সীমান্ত সংঘাত শুরু হয়। ৯ অক্টোবর কাবুলে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল এবং এর পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অবস্থান নেয়।
পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে যে, আফগানিস্তান পাকিস্তানবিরোধী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দিয়ে তাদের মাধ্যমে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে সহায়তা করছে। এর ফলে দুই দেশের সম্পর্ক অনেকটাই তিক্ত হয়ে উঠেছে।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী তারার বলেন, ‘পাকিস্তান শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আলোচনায় বসেছিল, কিন্তু আফগানিস্তান সন্ত্রাসীদের প্রতি তার অবারিত সমর্থন দিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।’
তিনি আরো জানান, পাকিস্তান তাদের জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রাখবে।
তথ্যমন্ত্রী পরবর্তী সময়ে এই প্রসঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং তাদের আশ্রয়স্থল, প্ররোচনাকারী এবং সমর্থকদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
যদিও আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি শেষে ১৯ অক্টোবর দোহায় এক দফা আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি পুনর্বহাল করা হয় এবং তারপর ইস্তাম্বুলে শান্তিচুক্তির জন্য আরো আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। তবে, এই আলোচনা থেকেও কোনো স্থায়ী সমাধান বের হয়নি।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ