Publish: Friday, 18 July, 2025, 11:52 AM

রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। টানা বৃষ্টিপাত ও পরিবহন ব্যবস্থায় ব্যাঘাতের কারণে বেশিরভাগ সবজির সরবরাহে সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। এতে করে দাম বেড়ে গেছে পটল, ঢেঁড়শ, করলা, বেগুন, শসা, ঝিঙেসহ প্রায় সব ধরনের সবজির।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া, রায়েরবাগ এলাকায় প্রতি কেজি বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পটোল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, কচুর মুখী ৫০ টাকা, ঝিঙে ৪০ টাকা, কাঁকরোল ৪০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, ধনেপাতা ১০০ টাকা এবং টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।
এদিকে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। যা আগের সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা।
এদিকে ঝাঁজ কমেছে রান্না কাজে প্রয়োজনীয় দ্রব্য কাঁচামরিচ। ভোক্তাদের জন্য কিছুটা স্বস্তির খবর হচ্ছে—কাঁচা মরিচের দামে সামান্য কমতি এসেছে। দুই সপ্তাহ আগেও যেখানে কাঁচা মরিচের দাম ছিল ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত ছিল, এখন তা নেমে এসেছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের দাম আরও কিছুটা কম, যেখানে কেজিপ্রতি ১৭০ থেকে ১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, টানা বৃষ্টির কারণে বেশ কিছু সবজির দাম বেড়েছে। যদিও কাঁচা মাছের দাম আগের তুলনায় কম। কারণ হিসেবে তারা বলছে আগের তুলনায় কাঁচামরিচের সরবরাহ বেড়েছে।
কাঁচাবাজারে আসা কয়েকজন ক্রেতা জানান, কিছুদিন আগেও যে দাম ছিল, এখন তা আরও বেড়েছে। কিন্তু আয় বাড়েনি, সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ ঠিক না থাকায় দাম কমানো যাচ্ছে না। তবে মরিচের ক্ষেত্রে উৎপাদন কিছুটা বাড়ায় দাম কমেছে।
এদিকে আলু, পেঁয়াজ ও রসুনের দামে তেমন পরিবর্তন দেখা যায়নি। আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা ও রসুন ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজিতে।
এছাড়া চালের বাজারেও নতুন করে দাম বাড়েনি। আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট চালের কেজি ৮২-৮৫ টাকা, নাজিরশাইল ৮৫-৯২ টাকা এবং মোটা চাল ৫৬-৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ