Publish: Monday, 14 July, 2025, 9:07 PM

রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় দেশের বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। তবে, টাকার বিপরীতে ডলারের দাম স্থির রাখতে নিলামের মাধ্যমে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, ১৮টি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নিলামের মাধ্যমে বেশি দাম দিয়ে ডলার কেনা হয়েছে। ডলারের দরপতন কমাতে এ উদ্যোগ ইতিবাচক বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
দেশে আমদানি কমে রপ্তানি বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি রেমিটেন্সের প্রবাহ বেড়েছে। এতে বাজারে বেড়েছে ডলারের সরবরাহ। ফলে ডলারের দামে এসেছে পরিবর্তন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ৩ জুন বাজারে প্রতি ডলারের গড় মূল্য ছিল ১২৩ টাকা। যা চলতি মাসের ১৩ তারিখ বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা ৬০ পয়সায়। অর্থাৎ, টাকার বিপরীতে ডলারের দাম কমেছে আড়াই টাকার মতো। এমন অবস্থায় টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার যেন স্থির থাকে, সেজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার কিনেছে। যেখানে প্রতি ডলারের দাম ১২১ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘রপ্তানিকারকের স্বার্থ বিবেচনা করে এবং প্রবাসী আয় প্রেরণকারীরা যাতে আর ব্যাংকিং চ্যানেল বাদ দিয়ে ভিন্ন কোনো পথে রেমিট্যান্স না পাঠায়, তাদের দুজনের স্বার্থ বিবেচনা করে ডলারের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য আমরা ১৮টি ব্যাংকের কাছ থেকে নিলামের মাধ্যমে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ১৭১ মিলিয়ন ডলার ক্রয় করেছি।’
আমদানি ঋণপত্র খোলা কমে যাওয়াসহ নানা কারণে ব্যাংকগুলোতে এখন ডলারের চাহিদা কমে গেছে। এছাড়া অর্থপাচার কমায় ডলারের সরবরাহ বেড়েছে ব্যাংকগুলোতে। ব্যাংকাররা বলছেন, ডলারের দাম কমে গেলে আমদানিকারকরা উপকৃত হলেও রপ্তানিকারক ও রেমিট্যান্স যোদ্ধারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একইসাথে হুন্ডি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের যে উদ্বৃত্ত ডলারটা, যদি রিক্যুয়ারমেন্ট না থাকে সেজন্য হয়ত তারা নিচ্ছে। এটাতে কোনো অসুবিধা নেই। এটা যদি তারা কিনে নেয় তাহলে তো ডিমান্ড সাপ্লাই চেইনটা ঠিক থাকবে। নাহলে আমার অনেক বেশি ডলার এসে গেল, বিক্রি করতে পারছি না। তখন তো এটা লোয়ার রেটে চলে যাবে। এটার জন্য এটা ভালো নিদর্শন।’
বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংক আরও ডলার কিনতে পারে বলে জানান কর্মকর্তারা।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ