জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর ভেঙে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুটি বিভাগ সৃষ্টি করেছে সরকার, যেখানে কর আইন প্রয়োগ ও কর আদায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে রাজস্ব নীতি বিভাগ এবং রাজস্ব সংগ্রহের মূল কাজ করবে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ। এবার এই দুই বিভাগে সচিব নিয়োগে নতুন নীতিমালা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
রোববার (১৩ জুলাই) সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এদিন জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প, বন্দর ও রাজস্ব আদায় কার্যক্রম অধিকতর গতিশীল রাখার লক্ষ্যে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির অগ্রগতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের নতুন যে দুটি বিভাগ হবে (রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব বাস্তবায়ন) এখানে সচিব নিয়োগ কীভাবে হবে, সেটার একটা নীতিমালা করতে হবে। এই যোগ্যতা থাকলে তাকে সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হবে, এমন একটা নীতিমালা থাকতে হবে।
তিনি বলেন, যেহেতু রাজস্ব কার্যক্রম চালাতে হবে সেহেতু নীতিমালা করা প্রয়োজন। ঊর্ধ্বতন পদগুলোতে নীতিমালা করতে হবে। যাতে রাজস্ব আহরণ কার্যক্রমটা আরও বেগবান হয়।
ফাওজুল কবির খান বলেন, রাজস্ব আদায় খুবই কম; এটা যেন বাড়ে, গ্রাহক সেবা যেন বাড়ে ও হয়রানি যেন বন্ধ হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
এ সময় এনবিআরকে ভেঙে দুই বিভাগ করার অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে হওয়া আন্দোলন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, আমরা দেখেছি একটি নিরীহ আন্দোলন পরবর্তী সময়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের রূপ নিয়েছে। দেখেছি এই আন্দোলনটা অর্থনৈতিক ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। আপনারা গণমাধ্যমের রিপোর্টও দেখেছেন আন্দোলনের নামে তারা হোয়াটসঅ্যাপ খুলে সরকারবিরোধী আন্দোলনের রূপ দিয়েছে।
তিনি বলেন, এই অধ্যাদেশের কতগুলো সমস্যা চিহ্নিত করেছি। আমরা যেহেতু পরামর্শক কমিটি সেহেতু এগুলো সমাধানের একটি পরামর্শ দেব।
ফাওজুল কবির খান বলেন, আমাদের সামনের পথ হলো অধ্যাদেশে যে সমস্ত ত্রুটি আমরা পেয়েছি সেগুলো নিয়ে কাজ করা। এরপর আরেকটি বিষয় হচ্ছে এনবিআর আর থাকছে না। এনবিআরে কেউ চাকরি করে এটা শুনলে সবাই একটা অট্টহাসি দেয়। মানুষ কেন হাসি দেয় এটা আমরা আপনারা সবাই কিন্তু জানি। এনবিআর না থাকাটা সবার জন্য ভালো।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ