দেশের নিরাপত্তার ওপর হুমকি অজুহাত দেখিয়ে গত ৪ জুন ১২টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশগুলো হচ্ছে সোমালিয়া, সুদান, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, ইয়েমেন, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি। এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে জায়গা পেয়েছে ইরান ও হাইতি।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) থেকে বিশ্বকাপ টিকিটের আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। ওয়েবসাইটে গিয়ে যে কেউ করতে পারছে আবেদন। তবে ইরান ও হাইতির ফুটবলভক্তরা এ নিয়ে ভুগছেন অনিশ্চয়তায়। এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছে ফিফা। কী করবে, সেটি এখনো বুঝে উঠতে পারছে না সংস্থাটি।
তিন দেশে বিশ্বকাপ হলেও গ্রুপ পর্বে ইরান ও হাইতির সব ম্যাচই পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। ‘জি’ গ্রুপে থাকা ইরানের ম্যাচগুলো লস অ্যাঞ্জেলেস (১৫ জুন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, ২১ জুন বেলজিয়ামের বিপক্ষে) এবং সিয়াটলে (২৬ জুন মিসরের বিপক্ষে)। আর ‘সি’ গ্রুপে থাকা হাইতির ম্যাচ বোস্টন (১৩ জুন স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে), ফিলাডেলফিয়া (১৯ জুন ব্রাজিলের বিপক্ষে) এবং আটলান্টায় (২৪ জুন মরক্কোর বিপক্ষে)।
নিয়মিতই বিশ্বকাপ খেলে ইরান। এই নিয়ে টানা চতুর্থবার ও সপ্তমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলছে দেশটি। ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বেশ শত্রুভাবাপন্ন। ইরানে হামলাও চালিয়েছিল দেশটি। তাই এমন এক দেশের ফুটবলভক্তদের ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত কী হবে, সেটি ৬ মাস আগেও জানতে পারছে না ফিফা। ফিফার কাছে স্প্যানিশ দৈনিক দিয়ারিও এএস এই ব্যাপারে জানতে চাইলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
এমনকি কিছুদিন আগে ড্র অনুষ্ঠানেরও ইরানের অংশগ্রহণ নিয়ে তৈরি হয়েছিল জটিলতা। কয়েকজন সদস্যকে ভিসা না দেওয়ায় ড্র অনুষ্ঠান বর্জনের হুমকি দিয়েছিল ইরান। শেষ পর্যন্ত ফিফার হস্তক্ষেপে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে দলটি।
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ইরান ও হাইতি ফুটবল দলের যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন। নির্বাহী আদেশ দিয়ে কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ক্রীড়া দল আছে। খেলোয়াড় ছাড়াও কোচ, টিম স্টাফ এবং তাদের নিকটাত্মীয়রা যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ