লিওনেল মেসি আসার আগ পর্যন্ত ইন্টার মায়ামি ছিল এমএলএসের তলানির দিকের দল। কিন্তু আর্জেন্টাইন মহাতারকার আগমনে বদলে গেছে সব হিসেব-নিকেশ। প্রথম মৌসুমেই লিগস কাপ জয়ে দলকে প্রথম ট্রফি উপহার দেন মেসি। ২০২৪ সালে সাপোর্টারস শিল্ড জিতেও বড় শিরোপার আক্ষেপ ছিল। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমএলএস কাপ জিতল ইন্টার মায়ামি।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে নিউ ইয়র্কের চেজ স্টেডিয়ামে ফাইনালে ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসকে ৩–১ গোলে হারিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরে ডেভিড বেকহ্যামের মালিকানাধীন ক্লাবটি। ম্যাচে গোল না পেলেও দুটি অ্যাসিস্ট করে জয়ের নায়ক হয়ে ওঠেন লিওনেল মেসি। একই সঙ্গে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামা সার্জিও বুস্কেটসকে প্রাপ্য বিদায় উপহার দিতে সক্ষম হন তিনি।
ঘরের মাঠে ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই এগিয়ে যায় ইন্টার মায়ামি। মেসি ও রদ্রিগো ডি পলের চমৎকার বিল্ড-আপের পর তাদেও আলেন্দের ক্রস ঠেকাতে গিয়ে ভ্যাঙ্কুভারের ডিফেন্ডার এদিয়ের ওকাম্পোর গায়ে লেগে বল জালে ঢুকে পড়ে।
৬০ মিনিটে কানাডিয়ান তারকা আলী আহমেদের জোরালো শটে সমতায় ফিরে আসে ভ্যাঙ্কুভার। তবে মেসির সামনে প্রতিপক্ষের সেই আনন্দ বেশিক্ষণ টিকতে পারে না।
৭১তম মিনিটে প্রতিপক্ষের টার্নওভার থেকে বল কাড়েন মেসি এবং নিখুঁত পাসে আর্জেন্টাইন সতীর্থ রদ্রিগো ডি পলকে দিয়ে গোল করান।
যোগ করা সময়ের ৯৬তম মিনিটে আবারও মেসির বাঁ পায়ের জাদু। একটি অসাধারণ থ্রু-পাসে আলেন্দেকে গোলের সুযোগ করে দেন। নিচু শটে ফিনিশিং করে আলেন্দে নিশ্চিত করেন মায়ামির শিরোপা। এটিই ছিল অডি এমএলএস কাপে তার রেকর্ড নবম গোল।
এই ম্যাচেই ক্যারিয়ারের শেষবারের মতো মাঠে নামেন বিশ্বজয়ী স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সার্জিও বুস্কেটস। বার্সেলোনার কিংবদন্তি এই তারকা সোনালি ক্যারিয়ারের সমাপ্তি টানলেন শিরোপা হাতে।
৩০ বছরের এমএলএস ইতিহাসে ১৬তম ক্লাব হিসেবে এমএলএস কাপ জয়ের কীর্তি গড়ল ইন্টার মায়ামি।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ