রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে গোল করতে ভুলে গিয়েছিলেন রদ্রিগো গোয়েস। কাঙ্খিত গোলের দেখা পেয়েছেন তিনি। সেটাও প্রিয় ‘প্রতিপক্ষ’ ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে। তার গোলে কর্তৃত্ব করা লস ব্লাঙ্কোসরা ২৩ মিনিটে লিড নেয়। পরের রক্ষণে ভুলে প্রথমার্ধে ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে ওই ব্যবধানে হেরেছে জাবি আলোনসোর দল।
বুধবার রাতে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে ছাড়া খেলতে নামে রিয়াল মাদ্রিদ। রাইট উইঙ্গে জায়গা হয় রদ্রিগোর। স্ট্রাইকার হিসেবে কোচ জাবি সুযোগ দেন তরুণ গার্সিয়াকে। দারুণ প্রেসিং ফুটবলে ব্লাঙ্কোসরা কর্তৃত্ব করে খেলতে শুরু করে। ম্যাচের ৭ মিনিটে দারুণ এক কাউন্টার অ্যাটাক তোলে তারা। রদ্রিগোর বাড়ানো বল গোলের মুখে পেয়েও জালে রাখতে পারেননি ভিনিসিয়াস।
দলকে লিড এনে দেওয়ার কাজটা নিখুঁত এক শটে করেন রদ্রিগো। এবারও কাউন্টার অ্যাটাক তোলে স্বাগতিকরা। বক্সের খানিকটা বাইরে বেলিংহাম বল বাড়ান রদ্রিগোকে। ডানপ্রান্ত দিয়ে তিনি বক্সে ঢুকে কোণা থেকে জোরের ওপর শট নিয়ে সিটিজেন গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমাকে পরাস্থ করেন।
গোল খেয়ে যেন ঘুম ভাঙে পেপ গার্দিওলার ম্যানসিটির। পক্ষান্তরে রিয়াল ডিফেন্ডার অ্যান্তোনিও রুডিগার ও রাউল অ্যাসেনসিও ঝিমিয়ে যান বলাও যায়। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে নিকো ওরেলি গোল করে ম্যানসিটিকে সমতায় ফেরান। ৪৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে আর্লিং হালান্ড সিটিজেনদের এগিয়ে নেন। যার পুরো দায় রুডিগারের।
দ্বিতীয়ার্ধে ওই গোল আর শোধ করতে পারেনি জাবি আলোনসোর দল। শোধ করার মতো ফুটবলও শেষ ধাপে দেখাতে পারেনি স্বাগতিকরা। এমবাপ্পের অনুপস্থিতিতে ভিনিসিয়াসের কাঁধে দায়িত্ব নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি যেন তার সেরা সময় খুঁজে ফিরছেন। অ্যাসেনসিওকে বদলি করে এনড্রিককে ৭৯ মিনিটে মাঠে নামানো হয়। তিনি লক্ষ্যে ও বাইরে একটি করে শট নেওয়া ছাড়া তেমন কিছু করতে পারেননি।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ