কষ্টার্জিত জয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ। চ্যালেঞ্জিং রান তাড়ায় বেশ বেগ পেতে হয়েছে টাইগারদের। তাওহিদ হৃদয় ও নুরুল হাসানের বিদায়ে একটু চাপেই পড়ে যায় বাংলাদেশ। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন দূর করেছেন সেই চাপ।
১৯তম ওভারে শেষ ৩ বলে চার–ছক্কায় নিয়েছেন ১০ রান। তাতে শেষ ওভারে ৩ রান দরকার হয় বাংলাদেশের। জশ লিটলের করা ওভারের চতুর্থ বলে চার মেরে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান মেহেদী হাসান। এর আগে ওভারে তিন বলে আসে ২ রান।
২ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে পাওয়া জয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ। তাতে ২ ডিসেম্বরের তৃতীয় ম্যাচটি হয়ে গেলে ‘ফাইনাল’।
লক্ষ্য ছিল ১৭১ রানের। উড়ন্ত সূচনা করেন পারভেজ হোসেন ইমন। কিন্তু তার সঙ্গী তানজিদ তামিমকে ফিরতে হয়েছে হতাশা নিয়ে। ১৬ বলে ২৬ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ইমনের সঙ্গে তামিমের ভুল বোঝাবুঝিতে। ১০ বলে ৭ করে বোলার ম্যাকার্থির সরাসরি থ্রোতে ফেরেন তামিম।
তবে তামিমকে হারালেও ইমন আর লিটন দাসের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে ঝড় তুলেছে বাংলাদেশ। ৬ ওভারে টাইগাররা তোলে ১ উইকেটে ৬৬ রান। ইমন খেলছিলেন বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। তার সেই আত্মবিশ্বাসী ইনিংসের ইতি ঘটে ডেলানির বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গেলে। ২৮ বলে ৫ চার আর ২ ছক্কায় ৪৩ করেন ইমন।
ছক্কা মেরে ফিফটি পূরণ করেন লিটন, ৩৪ বলে। ইনিংসের ১৫তম ওভারে মার্ক এডায়ারের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরতে হয় তাকে। বাংলাদেশ অধিনায়কের ৩৭ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ছিল ৩টি করে চার-ছক্কার মার।
পরের ওভারে আরও এক উইকেট। এবার ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আউট সাইফ হাসান (১৭ বলে ২২)। চার বলের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
এরপর রানআউট হন তাওহিদ হৃদয় (৯ বলে ৬)। ৭ বলে ৫ করে বোল্ড হন নুরুল হাসান সোহান। ৬ উইকেট হারিয়ে শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল সেই সময়।
সেখান থেকে সাইফউদ্দিনের ব্যাটে জয়। ৭ বলে ২ চার আর ১ ছক্কায় ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন সাইফউদ্দিন। ৩ বলে একটি ছক্কা হাঁকান শেখ মেহেদি।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ