প্রথমবারের মতো অ্যাপলের বাজারমূল্য চার ট্রিলিয়ন ডলারের ঘরে পৌঁছেছে। এনভিডিয়া ও মাইক্রোসফটের পরে এই অভিজাত ক্লাবে প্রবেশ করল প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি বাজারে আসা আইফোন-১৭ বিক্রিতে অভাবনীয় সাফল্য তাদের এই মাইলফলক গড়তে সহায়তা করেছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) লেনদেনের শুরুর দিকে অ্যাপলের শেয়ারের দাম প্রায় ২৭০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত ওঠে, যা সর্বোচ্চে। এতে প্রতিষ্ঠানটির বাজারমূল্য দাঁড়ায় চার ট্রিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। এদিন এনভিডিয়ার বাজারমূল্য ছিল প্রায় ৪ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার এবং মাইক্রোসফটের বাজারমূল্য প্রায় ৪ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলার।
অ্যাপলের এই মাইলফলকে তাদের নতুন আইফোন ১৭ জোরালো ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করা হচ্ছে। কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের তথ্য অনুসারে, প্রথম ১০ দিনে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে স্মার্টফোনটি তার আগের মডেলের চেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে।
তবুও অ্যাপলের শেয়ারদর এক বছরে মাত্র ৭ শতাংশ বেড়েছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা করছেন, প্রতিষ্ঠানটি এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে পারে। এআই মডেলগুলোকে শক্তিশালী করে এমন চিপগুলোর প্রধান সরবরাহকারী এনভিডিয়ার শেয়ারদর এ বছর ৪৪ শতাংশ বেড়েছে। চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ে বিনিয়োগ করে মাইক্রোসফ্টের শেয়ারদর ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সোমবারের পর মঙ্গলবারও মার্কিন শেয়ারবাজারে ব্যাপক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। আয় বৃদ্ধি এবং মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা কমে যাওয়ায় শেয়ারবাজার আবারও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
অ্যাপল বছরের পর বছর ধরে বিশ্বের সবচেয়ে দামি কোম্পানিগুলোর মধ্যে স্থান ধরে রেখেছে। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি গত অর্থবছরে ৩৯১ বিলিয়ন ডলারের নিট বিক্রয় এবং ৯৪ বিলিয়ন ডলারের নিট আয় করেছে। গত অর্থবছরে অ্যাপল ২০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের আইফোন, ৯৬ বিলিয়ন ডলারের পরিষেবা, ৩০ বিলিয়ন ডলারের ম্যাক, ২৭ বিলিয়ন ডলারের আইপ্যাড এবং ৩৭ বিলিয়ন ডলারের অন্যান্য ডিভাইস বিক্রি করেছে।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ