বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫,
১৩ কার্তিক ১৪৩২
বাংলা English हिन्दी

বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশ
ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানসহ ৬ জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন, দুজনের মৃত্যু
অনলাইন ডেস্ক
Publish: Wednesday, 29 October, 2025, 1:53 AM

নরসিংদীতে পারিবারিক কলহের জেরে ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানসহ ছয়জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী ও তার এক সন্তান মারা গেছেন।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৯টায় ও দুপুর ১২টায় রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সুজন চন্দ্র সরকার।

মারা যাওয়া দুজন হলেন, রিনা বেগম (৩৮) এবং তাঁর ছেলে ফরহাদ (১৫)। এ ঘটনায় রিনার আরেক ছেলে তাওহিদ (৭) চিকিৎসাধীন। তার শরীরের ১৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ছাড়া পাওয়া তিনজন হলেন, রিনার ছেলে জিহাদ (২৪), বোন সালমা বেগম (৩৪) ও তার ছেলে আরাফাত (১৫)।

অভিযুক্ত ফরিদ মিয়া (৪৪) পেশায় একজন পিকআপ চালক ও ঘোড়াদিয়া এলাকার বাসিন্দা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান জানান, মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টায় রিনা বেগম ও দুপুর ১২টায় ফরহাদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। রিনার শরীরের ৫৮ শতাংশ এবং ফরহাদের শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

এর আগে গত বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের ঘোড়াদিয়া এলাকায় স্ত্রী-সন্তানসহ ৬ জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালান ফরিদ মিয়া। শুক্রবার রাতে ফরিদ মিয়াকে একমাত্র আসামি করে নরসিংদী মডেল থানায় মামলা করেন রিনার মা হোসনা বেগম। পরদিন শনিবার রাত ৮টার দিকে রায়পুরা থানার বারৈচা এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ফরিদ মিয়া ও রিনা বেগম দম্পতির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই পারিবারিক কলহ চলছিল। এর জের ধরে জিহাদ মিয়া (২৪), ফরহাদ (১২) ও তাওহীদ (৭) তিন সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান রিনা। গত বুধবার রাত আড়াইটার দিকে ফরিদ মিয়া শ্বশুরবাড়ি গিয়ে ঘুমিয়ে থাকা স্ত্রী-সন্তানসহ ছয়জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। পরে ঘরের বাইরে থেকে দরজায় তালা দিয়ে পালিয়ে যান।

এ সময় প্রতিবেশী ও স্থানীয় লোকজন টিনের ঘরের দরজা ভেঙে দগ্ধ ছয়জনকে উদ্ধার করেন। পরে তাঁরা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় দগ্ধ ছয়জনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁদের মধ্যে পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। চিকিৎসক তিনজনকে ভর্তি রেখে দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, অগ্নিদগ্ধ ৬ জনের মধ্যে রিনা বেগম ও তাঁর ছেলে ফরহাদের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা হওয়ার পর একমাত্র আসামি ফরিদ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।

ডার্ক টু হোপ/এসএইচ 
মতামত লিখুন:
https://www.darktohope.org/ad/1731844310_left-banner.gif

সর্বশেষ সংবাদ

ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানসহ ৬ জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন, দুজনের মৃত্যু
তিন বিচারপতির কাছে ব্যাখ্যা নয়, তথ্য চাওয়া হয়েছে: সুপ্রিম কোর্ট
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন আরো ১৭৪ বাংলাদেশি
স্বর্ণের দাম কমে ২ লাখের নিচে নামল
ঐকমত্য কমিশন ঐক্যের বদলে ‘জাতীয় অনৈক্য’ করছে: সালাহউদ্দিন
বাংলাদেশ- এর আরো খবর
Email: [email protected]
© 2024 Dark to Hope
🔝