গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যানুযায়ী মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ইসরায়েলি বিমান ও গোলাবর্ষণে কমপক্ষে ৯৮ জন নিহত এবং ৩৮৫ জন আহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে সত্যিকার সংখ্যাটা আরও বেশি হতে পারে, অনেককে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা থাকার কারণে এখনো উদ্ধার করা যায়নি।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া রুশ/ইসরায়েলি অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ৬৫,০৬২ জনে পৌঁছেছে। মোট আহত: ১,৬৫,৬৯৭ জন।
সাম্প্রতিক পাঁচ মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন ১২,৫১১ জন ও আহত ৫৩,৬৫৬ জন (মন্ত্রনালয়ের রিপোর্ট অনুসারে)।
মে মাসের শেষ থেকে ত্রাণ সংগ্রহ করার সময় ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলিবর্ষণ বেড়েছে। গত ২৭ মে থেকে নিয়মিত ত্রাণ সংগ্রহকারীদের ওপর হামলার ঘটনা তার পরও চলেছে। সাম্প্রতিক এক ঘটনায় খাদ্য ও ত্রাণ সংগ্রহ করতে যাওয়াদের ওপর হামলায় ৭ জন নিহত ও ৮৭ জন আহত হন; এপর্যন্ত ত্রাণ সংগ্রহের সময় নিহত হয়েছেন ২,৫০৪ জন এবং আহত ১৮,৩৪৮ জন।
ইসরায়েলি সীমাবদ্ধতার কারণে গত ২ মার্চ থেকে গাজার খাদ্য সরবরাহ সীমিত থাকায় খাদ্যাভাব ও অপুষ্টি তীব্র। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে গত প্রায় দু’বছরে অপুষ্টি ও ক্ষুধাজনিত কারণে ৪৩২ জন মারা গেছেন, যার মধ্যে ১৪৬ জন শিশু। বুধবার খাদ্য-অপুষ্টিজনিত কারণে আরও ৪ জন মারা গেছেন।
গত ১৯ জুন যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও গাজা নিয়ন্ত্রক গোষ্ঠী হামাস দুই মাসের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল। পরে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে বিরতিটি ভেঙে অভিযান পুনরায় শুরু হয়েছে এবং তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ওই হামলার পর থেকে জিম্মি রাখা ২৫১ জনের মধ্যে আনুমানিক ১৫–২০ জন এখনও জীবিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, আইডিএফ তাদের উদ্ধার করার কথা বলেছে।
জাতিসংঘ ও বৈশ্বিক সম্প্রদায় বহুবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে; একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দাখিল করা হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, এই অভিযান চালানোর উদ্দেশ্য হামাসকে দুর্বল করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা; লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ