স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের খাদ্য তালিকায় ডিম দীর্ঘদিন ধরেই বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ার অভ্যাস শুধু শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণেই নয়, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও কার্যকর ভূমিকা রাখে।
একটি ডিমে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল এবং ভালো কোলেস্টেরলসহ ১৩ টির বেশি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান থাকে। শিশু থেকে বৃদ্ধ- সবার জন্যই প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়া উপকারী।
প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়ার কিছু প্রমাণিত উপকারিতা:
উচ্চমানের প্রোটিনের উৎস:
ডিমে থাকা প্রোটিন সহজপাচ্য ও উচ্চমানের। এটি পেশি গঠনে সহায়তা করে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।
চোখের যত্নে:
ডিমের কুসুমে থাকা লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং বয়সজনিত চোখের রোগ প্রতিরোধ করে।
মস্তিষ্কের গঠন ও কর্মক্ষমতা:
ডিমে থাকা কোলিন নামক পুষ্টি উপাদান মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষ গঠনে সহায়ক এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
হাড় ও দাঁতের জন্য উপকারী:
ডিমে আছে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি, যা হাড় ও দাঁত মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:
ডিমে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে নানা ধরনের ভাইরাস ও সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
যদিও ডিম অত্যন্ত পুষ্টিকর, তবুও যাদের উচ্চ কোলেস্টেরল বা ডিমে অ্যালার্জি আছে, তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডিম খাওয়া উচিত।
সহজে প্রাপ্ত এবং সাশ্রয়ী:
ডিম একটি সাশ্রয়ী এবং সহজে প্রাপ্য পুষ্টিকর খাবার হওয়ায় এটি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখা সহজ। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দেশে এটি অপুষ্টি রোধে কার্যকর একটি হাতিয়ার হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, ‘প্রতিদিন একটি ডিম, সুস্থ থাকার এক টিকিট’। তাই প্রতিদিনের খাবারে একটি ডিম রাখুন, সুস্থ থাকুন।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ