২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করা ও জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে আবার চার দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার (২৭ জুন) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত সোমবার এই মামলায় নূরুল হুদার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল পুলিশ। সেদিন শুনানি নিয়ে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

রিমান্ড শেষে আজ নূরুল হুদাকে দুপুর আড়াইটার পর আদালতে আনা হয়। রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার এসআই শামসুজ্জোহা সরকার আসামিকে আদালতে হাজির করে আবার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত রোববার সন্ধ্যার দিকে উত্তরার বাসার সামনে ‘মব’ তৈরি করে নূরুল হুদাকে হেনস্তার পর পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

পুলিশ জানায়, বিএনপির করা একটি মামলায় নূরুল হুদাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

নুরুল হুদাকে আটকের দিনই শেরেবাংলা নগর থানায় আওয়ামী আমলের তিন সিইসিসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন খান।

এ মামলায় ২০২৪ সালের নির্বাচনকালীন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গত বুধবার গ্রেফতার করা হয়। গতকাল (বৃহস্পতিবার) তাকে আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

মামলায় আসামি অন্য সিইসি হলেন ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।

২০১৪ সালের নির্বাচন বিনা ভোটের নির্বাচন, ২০১৮ সালের নির্বাচন রাতের ভোটের নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের নির্বাচন ডামি প্রার্থরি নির্বাচন হিসেবে দেশে প্রচলিত আছে। 

ডার্ক টু হোপ/এসএইচ