ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার কার্যালয় ও প্রথম আলোর অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে জাতীয় এই দুই পত্রিকার কার্যালয়।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনার কাজ করছেন। ভবনের সামনে উৎসুক জনতার ভিড় জমেছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে পুলিশ সদস্যদেরও অবস্থান করতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ডেইলি স্টার ভবনের ১ থেকে ৩তলা পর্যন্ত আগুনে পুড়ে গেছে। আগুনে এসব তলার অফিস কক্ষ, আসবাব ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে ৪ থেকে ৭তলা পর্যন্ত অফিসের প্রায় সব সামগ্রী লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়েছে। কাগজপত্র, কম্পিউটার, আসবাবসহ বিভিন্ন উপকরণ তছনছ করে ফেলা হয়েছে। এক কথায় পুরো ভবনই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
সকালে ভবনের সামনে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীদের তথ্য সংগ্রহ ও ছবি তুলতে দেখা যায়।
প্রিয় কর্মস্থলে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন ডেইলি স্টারের ফটো সাংবাদিক প্রবীর দাশ। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার সব স্মৃতি, আমার এত বছরের ক্যারিয়ারে তোলা ছবি— চার-পাঁচটি হার্ডড্রাইভ। অগ্নিসংযোগকারীরা হয়তো জানে না, একজন সাংবাদিকের কাছে এসব জিনিসের মূল্য কতটা।’
এছাড়াও অফিস প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় ডেইলি স্টারের আরেক সংবাদকর্মীকে। তিনি বলেন, আগুনে শুধু অফিস নয়, পুড়ে গেছে তার বহুদিনের স্বপ্নও।
তিনি জানান, ‘আগামী রবিবার একটি ফ্ল্যাট কেনার কথা ছিল। সেই ফ্ল্যাট কেনার জন্য ধার করে জোগাড় করা ১০ লাখ টাকা তিনি অফিসে রেখেছিলেন, যা আগুনে পুড়ে গেছে। এ ছাড়া তার পাসপোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রও আগুনে নষ্ট হয়েছে।’
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ