ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে আজও রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ভোরে কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতি বাড়ছে।
দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, শাহবাগ মোড় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। মোড়েই অবস্থান নিয়েছেন ছাত্র-জনতা। উপস্থিত ছাত্র-জনতা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। আন্দোলনে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ যোগ দিয়েছেন।
শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক শোক মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে টিএসসি ও হলপাড়া এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা শোক মিছিল বের করে রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ঢাকা আলিয়া ও কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও মিছিলে যোগ দেন।
এদিকে, একদল তরুণ চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। গতকাল রাত সাড়ে ১১টায় খুলশী এলাকায় হাইকমিশন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন তারা। এ সময় তারা হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ ও ভারতবিরোধী স্লোগান দেন। পরে পুলিশের সদস্যরা তাদের সরিয়ে দেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হাদি সাত দিন জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন।
হাদির মৃত্যুতে আগামীকাল শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার। গতকাল রাতে সিঙ্গাপুরে হাদির মৃত্যুর খবর আসার পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেছেন, ওসমান হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব নেবে রাষ্ট্র।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে হাদির মরদেহ দেশে পৌঁছাবে। আগামীকাল বাদ জোহর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা হবে। তবে দাফন কোথায়, সে সিদ্ধান্ত গতকাল মধ্যরাত পর্যন্ত জানা যায়নি।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ