খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলে হত্যার পর মরদেহ ফেলা হচ্ছে নদীতে। ২১ মাসে মিলেছে ৭০টিরও বেশি মরদেহ। বেশিরভাগেরই পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। আর চলতি বছর ৩৭ মরদেহ উদ্ধার হলেও মামলা হয়েছে মাত্র ৯টি। সামাজিক অস্থিরতা ও পুলিশের নজরদারির অভাবকে দায়ী করছেন মানবাধিকার কর্মীরা।
খুলনাঞ্চলের বিভিন্ন নদ-নদীতে প্রায়ই ভেসে উঠছে মরদেহ। নৌ পুলিশের তথ্যানুসারে, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুরের বিভিন্ন নদ-নদী থেকে গত বছর ৩৩ মরদেহ উদ্ধার হয়। যার মধ্যে আগস্ট পরবর্তী সময়ে মিলেছে ১৫ জনের মরদেহ। আর চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসেই উদ্ধার হয়েছে ৩৭ মরদেহ।
নদী থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহের বেশিরভাগই ছিল ক্ষতবিক্ষত। ৭০ মরদেহের মধ্যে ১৭ জন শিশু ও ৮ জন নারী। এ পর্যন্ত শনাক্ত করা হয়নি ২১ জনের পরিচয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সুযোগে বেপরোয়া হয়ে উঠছে অপরাধীরা—বলছেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা।
মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সমন্বয়কারী মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এতে তারাও (অপরাধী) কিন্তু উৎসাহ পাচ্ছে যে আমাদের কিছু হবে না। এ কারণেই হত্যার সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। পুলিশকে স্বাধীনভাবে কাজ করার নিশ্চয়তা রাষ্ট্রকে দিতে হবে।’
নৌ পুলিশ বলছে, খুলনা নৌ অঞ্চলের রূপসা, ভৈরব, শিবসা, বলেশ্বর ও এর শাখা-প্রশাখা থেকে মরদেহ উদ্ধার হচ্ছে বেশি।
খুলনা অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা যদি শনাক্ত করতে নাও পারি, সে নমুনা কিন্তু আমাদের কাছে রয়ে যাচ্ছে। আর প্রাথমিকভাবে যদি আমাদের মনে হয় হত্যাকাণ্ড, আমরা মামলা নিচ্ছি। আর যদি কোনো সন্দেহ থাকে, তাহলে আমরা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাই। রিপোর্ট পাওয়া সাপেক্ষে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নিই।’
এ বছর ৩৭ মরদেহ উদ্ধারের বিপরীতে নয়টি হত্যা মামলা হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি পুলিশ।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ