সুন্দরবনে আবারও বেড়েছে দস্যুদের তৎপরতা। ২০১৮ সালে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণার পর ২০২৪ সালে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ফের শুরু হয়েছে পুরনো বিভিন্ন বাহিনীর কার্যক্রম।
জেলে ও বাওয়ালিদের জিম্মি করে টাকা আদায় করছে তারা। দস্যুদের শারীরিক নির্যাতনে হাত-পা অকেজো হয়ে গেছে অনেকের। আতঙ্কে পেশাত্যাগ করছেন অনেক জেলে-বাওয়ালি। বনদস্যুদের তৎপরতা রুখতে কঠোর পদক্ষেপের দাবি তাদের।
সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকায় প্রায় ২০ লাখের বেশি মানুষের বসবাস। তাদের বেশির ভাগই সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল। মাছ, কাঁকড়া শিকার, বন থেকে মধু ও গোলপাতা আহরণ করেই চলে তাদের জীবন।
২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করার আগ পর্যন্ত ৩২টি দস্যু বাহিনীর ৩২৮ জন আত্মসমর্পণ করে। সে-সময় তারা জমা দেন ৪৬২টি অস্ত্র ও বিপুল গুলি।
বনজীবীরা বলছেন, আন্ধারমানিক, শিবসা, হরিণটানাসহ কমপক্ষে ২০টি পয়েন্টে শরীফ, মজনুসহ কমপক্ষে ১০টি বাহিনীর হাতে ১ বছরে ৩ শতাধিক জেলে অপহৃত হয়েছেন। মুক্তপণ দিয়ে মুক্তি পান অনেকে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সুযোগে কারাগার ভাঙচুর করে পালানো কয়েদিরাও দস্যুতায় যুক্ত হয়েছে।
এদিকে, মুক্তিপণের জন্য বনজীবীদের অপহরণ করার কোনো তথ্য নেই বন বিভাগের কাছে। তবে দস্যুদের নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত হাসান খাঁন বলেন, ‘আমরা খবর পেলেই অভিযান পরিচালনা করি। দস্যুদের ধরতে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যহত রয়েছে।’
দস্যু বাহিনীর তৎপরতা রুখতে প্রশাসনকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি বনজীবীদের।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ