বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে ভারতের একটি ফিশিং ট্রলার। এসময় ট্রলারসহ ১৪ ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মোংলার দিগরাজ নৌঘাঁটিতে আনার পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে সেটিকে মোংলা থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আগামীকাল রোববার আটক জেলেদের আদালতে পাঠানোর হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আটক জেলেরা হলেন- চন্দ্র দাস, আনন্দ দাস, সদানন্দ দাস, শেখর দাস, সুভাষ দাস, মনি শংকর শিকদার, বিপুল দাস, গৌরঙ্গ দাস, মৃত্যুঞ্জয় দাস, গৌরাঙ্গ হালদার, গৌতম দাস, বিশ্বজিৎ দাস, সুজন বিশ্বাস ও বিজয় দাস। তাদের সবার বাড়ি কলকাতার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় বলে জানা গেছে।
মোংলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, মোংলা বন্দরের অদূরে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে ‘এফ, বি শুভযাত্রা’ নামক একটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলার আটক করে সমুদ্রসীমায় টহলরত নৌবাহিনীর জাহাজ বানৌজা শহীদ আক্তার উদ্দিন। ট্রলারটিতে ১৪ জন ভারতীয় জেলে রয়েছে। তারা বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার করছিলেন। তাদের বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগোনা জেলার কাকদ্বীপ এলাকায়। আটক ট্রলারটিকে ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় মোংলায় নিয়ে আসে নৌবাহিনীর অপর জাহাজ বানৌজা বিষখালী।
তিনি আরও জানান, ভারতীয় ট্রলারে থাকা ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১০ মণ মাছ রাতে মোংলার ফেরিঘাটে এনে উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। মাছ বিক্রির টাকা সরকারের রাজস্বে জমা হবে।
মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, ভারতীয় জেলেদের বিরুদ্ধে সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন ও মৎস্য সম্পদ লুটের অভিযোগে মামলা দায়েরের পর রোববার সকালে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৪ জুলাই দুটি ও ৩ আগস্ট একটি ভারতীয় ট্রলার ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে আটক করে নৌবাহিনী।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ