ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসের আশপাশে কয়েকটি স্থানে ভয়াবহভাবে দেহব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সমাজসেবা সম্পাদক এ বি জুবায়ের। তার দাবি, স্থানীয় পুলিশ কমিশন নিয়ে এই অবৈধ কর্মকাণ্ডে মদদ দিচ্ছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই অভিযোগ করেন।
পোস্টে জুবায়ের লিখেছেন, ‘কাল রাত ১২টা থেকে ফজর পর্যন্ত ক্যাম্পাসের আশপাশে অনুসন্ধান চালাই। বেশ কয়েকটি স্থানে ভয়াবহ দেহব্যবসা চলছে। দুইটি গ্রুপ সক্রিয়—একটি নারী এবং অন্যটি ট্রান্স (হিজড়া) গ্রুপ।’
তিনি লিখেছেন, ‘প্রত্যেক জায়গায় সময় নিয়ে কথা বলেছি কয়েকজনের সঙ্গে। যেসব নারী এই কাজে জড়িত, তাদের অনেকেরই পরিবার আছে; পরিবার জানে তারা চাকরি করেন বিভিন্ন জায়গায়। এই দেহব্যবসায় স্থানীয় পুলিশের সম্পৃক্ততা রয়েছে, তারা কমিশন খেয়ে মদদ দেয়।’
জুবায়ের লেখেন, ‘সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো ট্রান্স গ্রুপের কর্মকাণ্ড। একজনের ইংরেজি উচ্চারণ খুব ভালো ছিল। জানতে পারি, সে একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি অনার্সের শিক্ষার্থী। বিলাসবহুল জীবনযাপন তার। কথোপকথনে জানা যায়, তার মতো আরও অনেকে সার্জারির মাধ্যমে নারীর শরীরের মতো রূপ নিয়ে এই পেশায় নেমেছেন। এদের মধ্যে অনেকেই দিনের বেলায় বিভিন্ন ভালো প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী বা কর্মরত।’
ডাকসুর এই নেতা আরও লিখেছেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সমাজ যদি এখনো এই বিকৃত বাস্তবতার বিরুদ্ধে সচেতন না হয় ও প্রতিরোধ গড়ে না তোলে, তবে সামনে ভয়াবহ সময় আসবে।’
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ