তিস্তার উজানে প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে আকস্মিক বন্যায় জেলার প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, ডাউয়াবাড়ি, শিংগিমারী, আদিতমারীর মহিষখোচা এবং সদর উপজেলার গোকুন্ডা, রাজপুর, খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। এসব এলাকার বহু মানুষের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, রোববার (৫ অক্টোবর) বিকেল থেকে আকস্মিকভাবে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং রাত ১১টায় এই পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১১টায় তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বর্তমানে এলাকাগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করলেও নদী পাড়ে দেখা দিয়েছে ভাঙন আতঙ্ক। এতে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা। দিনভর আতঙ্কে থাকা নদীপাড়ের মানুষ রাতে ঘুমাতে পারছেন না। অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্র, বিদ্যালয় কিংবা উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। গবাদিপশু ও গৃহস্থালি সামগ্রী নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটছে তাদের।
জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার জানান, বন্যা মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং পরিস্থিতির খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ