রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫,
৩ কার্তিক ১৪৩২
বাংলা English हिन्दी

রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
রাজনীতি
তোফায়েল আহমেদের শারীরিক অবস্থা ‘অপরিবর্তিত’
অনলাইন ডেস্ক
Publish: Sunday, 5 October, 2025, 12:16 AM

ষাটের দশকের ছাত্ররাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান আর একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের অগ্রসৈনিক, আওয়ামী লীগের এক সময়ের প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি।

তার অবস্থা ‘ভালো নয়’ বলে শনিবার (৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইউসুফ সিদ্দিক।

বার্ধ্যক্যজনিত নানা জটিলতা নিয়ে প্রায় ১০ দিন ধরে এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তোফায়েল আহমেদ।

শনিবার রাতে তার মৃত্যুর খবর দেয় কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম। কিন্তু এ খবর সত্য নয় বলে জানান ইউসুফ সিদ্দিক।

এ বিষয়ে হাসপাতালের ‘কাস্টমার কেয়ার’ প্রতিনিধি মোরশেদুল রাত পৌনে ১১টার দিকে গণমাধ্যমকে জানান, এ ধরনের খবর গত এক সপ্তাহ থেকেই ছড়াচ্ছে। আমাদের কাছেও অনেকে ফোন করে বিষয়টি জানতে চাইছেন।

“তিনি আমাদের হাসপাতালে সিসিইউতে ভর্তি আছেন। সেক্ষেত্রে ওনার সর্বশেষ পরিস্থিতি যারা চিকিৎসা দিচ্ছেন, তারাই বলতে পারবেন। তবে খারাপ কিছু হলে অবশ্যই আমাদের জানাবেন, সে সময় সাংবাদিকরাও জানতে পারবেন।"

তার ব্যক্তিগত সহকারী আবুল খায়ের বলেন, সাবেক এ মন্ত্রীর অবস্থা ‘অপরিবর্তিত রয়েছে’।

পরিবারের এক সদস্য বলেন, কয়েক বছর ধরেই হুইলচেয়ারে চলাফেরা করেন তোফায়েল আহমেদ। স্ট্রোকের কারণে তার শরীরের একাংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যায়। বাঁ হাত ও পা অবশ হয়ে পড়ায় তিনি চলাফেরা অক্ষম হয়ে পড়েন।

১৯৪৩ সালের ২২ অক্টোবর ভোলা জেলার সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামে তোফায়েল আহমেদের জন্ম। বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকাবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন।

১৯৬৮-৬৯ এর উত্তাল সময়ে তোফায়েল ছিলেন ডাকসুর ভিপি। সে হিসেবে তিনি সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে তিনি ছিলেন ছাত্রসমাজের নেতৃত্বের ভূমিকায়।

প্রবল গণ আন্দোলনে পাকিস্তান সরকার ১৯৬৯ সালে শেখ মুজিবুর রহমানসহ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সকল আসামিকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ওই বছর ২৩শে ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক জনসভার আয়োজন করে।

লাখো জনতার সেই সমাবেশে শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। আর সেই উপাধি ঘোষণা করেন তোফায়েল আহমেদ।

১৯৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন তোফায়েল। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন মুজিব বাহিনীর অঞ্চলভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত চার প্রধানের একজন।

স্বাধীন বাংলাদেশে ৯ বার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তোফায়েল আহমেদ। সর্বশেষ তিনি ভোলা-১ আসনের এমপি ছিলেন।

দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে পরে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন তোফায়েল আহমেদ। বর্তমানে তিনি দলের উপদেষ্টা পরিষদের একজন সদস্য।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় তোফায়েল আহমেদকে নিজের রাজনৈতিক সচিবের দায়িত্ব দেন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরলে বঙ্গবন্ধুর মেয়ে শেখ হাসিনা তার সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন তোফায়েলকে। পরে ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আবারও তিনি বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

ডার্ক টু হোপ/এসএইচ
মতামত লিখুন:
https://www.darktohope.org/ad/1731844310_left-banner.gif

সর্বশেষ সংবাদ

২ দিনের ফ্লাইট বিপর্যয়ের মাশুল মওকুফ করবে সরকার: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ডিএসইতে কমেছে সূচক, ৭৯ শতাংশ কোম্পানির দরপতন
নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিন যেতে পারবেন পর্যটকরা
ভিসা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন যেসব দেশের নাগরিক
কলেজের পাশে ময়লার ভাগার, প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের
রাজনীতি- এর আরো খবর
Email: [email protected]
© 2024 Dark to Hope
🔝