Publish: Sunday, 14 September, 2025, 7:06 PM

এক মাস বিরতির পর নীলফামারীতে ফের বাড়তে শুরু করেছে তিস্তা নদীর পানি। উজানের ঢলে রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টার দিকে ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এদিন ৯ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ১৪ সেন্টিমিটার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সবকটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, রোববার সকাল ৬টায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর সকাল ৯টায় ছয় সেন্টিমিটার, ১২টায় পাঁচ সেন্টিমিটার এবং বিকেল ৩টায় আরো তিন সেন্টিমিটারসহ ৯ ঘণ্টায় ১৪ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পয়েন্টে নদীর পানির বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার। বিকেল ৩টায় সেখানে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, গয়াবাড়ী, খালিশাচাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম ও চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেনি। রাতে পানি বৃদ্ধির শঙ্কায় রয়েছে এসব গ্রামের মানুষ।
ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘দফায় দফায় নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তবে এখনো কোনো ঘরবাড়িতে পানি ওঠেনি।’
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ‘উজানের ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিকেল ৩টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সব কটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, এর আগে উজানের ঢলে গত ১৪ আগস্ট নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলে তিস্তা অববাহিকায় বন্য পরিস্থির সৃষ্টি হয়।
এরপর পানি কমে স্বাভাবিক হয়।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ