ফ্যাটি লিভার হওয়ার পরে সতর্ক হওয়ার চেয়ে আগে থেকেই লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষায় সচেতন হওয়া জরুরি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার রাখলে লিভারে ফ্যাট জমতে পারবে না এবং লিভার সুস্থ থাকবে।
মানবদেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ লিভার প্রোটিন হজম, ভিটামিন সঞ্চয়, খাবার হজম এবং শরীরের দূষিত পদার্থ বার করে দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও জাঙ্ক ফুড খাওয়ার প্রবণতায় লিভারের অসুখ দিন দিন বাড়ছে। কম বয়সি থেকে বয়স্ক সব বয়সের মানুষের মাঝেই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ছে। সময়মতো সচেতন না হলে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন চিকিৎসকেরা।
হার্ভার্ড-প্রশিক্ষিত গ্যাস্ট্রোএনটেরোলজিস্ট ডা. সৌরভ শেট্টি জানিয়েছেন, তিন ধরনের খাবার ও পানীয় লিভারকে সুস্থ রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
পানীয়
কালো কফি, গ্রিন টি এবং মাচা পরিমিত পরিমাণে খেলে লিভারে ফ্যাট জমে না। কালো কফিতে থাকা ক্যাফিন ও ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড প্রদাহনাশক ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে। গ্রিন টি ও মাচাতেও থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট লিভারকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। তবে এগুলি খেতে হবে চিনি ছাড়া।
হলুদ
প্রতিদিন আধ থেকে এক চামচ হলুদ ডায়েটে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। এতে থাকা কারকিউমিন শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে লিভার ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
সবজি ও ফল
ব্রোকোলি, বিট এবং বেরিজাতীয় ফল লিভারের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
ব্রোকোলি: এতে প্রচুর ফাইবার ও সালফোরাফেন আছে, যা শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে।
বিট: এতে প্রদাহনাশক উপাদান এবং বিটালেনস রয়েছে, যা লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায়।
বেরিজাতীয় ফল: স্ট্রবেরি, ব্লুবেরিতে ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন ও খনিজ থাকে, যা লিভারে ফ্যাট জমতে দেয় না।
চিকিৎসকের মতে, নিয়মিত এই খাবারগুলো পরিমিত পরিমাণে খাদ্যতালিকায় রাখলে লিভার সুস্থ থাকবে এবং ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমবে।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ