নদী ভাঙনের কারণে ঝুঁকিতে পড়েছে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প। গৃহহীনদের নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখাতে নির্মিত ঘরবাড়ি এখন নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কায়। তীব্র ভাঙনে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে পড়েছেন প্রকল্পের বাসিন্দারা। নেই স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা কিংবা কর্মসংস্থানের সুযোগ। ফলে ঘর পেলেও পাচ্ছেন না বসবাসের উপযোগী পরিবেশ। চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন ৭১টি পরিবার। তাদের স্বপ্ন ভেঙে যাচ্ছে নদীর ভাঙনের সঙ্গে সঙ্গে। আশ্রয়ের বদলে এ প্রকল্প যেন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।
এ প্রকল্পটি পটুয়াখালীর মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের পশ্চিম খাজুরা গোড়া খালে অবস্থিত।
আশ্রয়ণের বাসিন্দা লাইলী বেগম বলেন, আমরা যে ঘরে থাকছি, সেই ঘর মানুষ তো দূরের কথা—গরু-ছাগল রাখারও উপযুক্ত নয়।
সমুদ্রের সঙ্গে লড়াই করে জেলেরা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখলেও অনেকেরই বসবাসের জায়গা নেই। নেই এক খণ্ড জমি, নেই মৃত্যুর পর দাফনেরও স্থান। ঝড়-জলোচ্ছ্বাস মাথায় নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা এসব মানুষ আশ্রয়ণ প্রকল্পে এসে নতুন দুর্ভোগে পড়েছেন।
নুর ইসলাম নামের এক জেলে বলেন, আমরা সবাই এখানে জেলে পরিবার। প্রতিটি ঘরের টিন ক্ষয়ে গেছে, দরজা-জানালা নেই। ঘরের ভেতরে বসেই আকাশ দেখা যায়। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি ঢোকে। পলিথিন ও ত্রিপল দিয়ে কোনোমতে টিকে আছি। এই ঘরে মানুষের থাকা সম্ভব নয়, তবুও থাকতে বাধ্য হচ্ছি।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ইয়াসীন সাদেক বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেছি। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো মেরামতের বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে নদী ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ