মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫,
২ পৌষ ১৪৩২
বাংলা English हिन्दी

মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
অর্থনীতি
এশিয়া ফ্লোর ওয়েজ অ্যালায়েন্সের তথ্য
এক বছরে ২৫৮টি কারখানা বন্ধ, লক্ষাধিক শ্রমিক কর্মহীন
নিউজ ডেস্ক
Publish: Monday, 15 December, 2025, 9:12 AM

বিগত এক বছরে ২৫৮টি কারখানা বন্ধ হয়েছে এবং এক লক্ষাধিক শ্রমিক কর্মহীন হয়েছে, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। 

পাশাপাশি প্রযুক্তিগত রূপান্তর, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত এবং বিদ্যমান শ্রম পরিস্থিতির দুর্বলতা এই শিল্পকে আরও জটিল বাস্তবতার মুখোমুখি করেছে। এশিয়া ফ্লোর ওয়েজ অ্যালায়েন্সের (এএফডাব্লিউএ) দেওয়া প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। 

রোববার  জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘প্রযুক্তিগত রূপান্তর, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিদ্যমান শ্রম পরিস্থিতিতে করণীয়’ শীর্ষক সংলাপে ওই প্রতিবেদন তুলে ধরেন নারী প্রগতি সংঘের জেন্ডার অফিসার আমরিন হোসাইন এ্যানি। সংলাপে প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনাকালে বিশেষজ্ঞরা পোশাক খাতের বিদ্যমান সংকট নিরসনে প্রযুক্তি, জলবায়ু ও শ্রম খাতের সমন্বিত রোডম্যাপ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

মূল বক্তব্যে আমরিন হোসাইন এ্যানি বলেন, গার্মেন্টস শিল্পে সৃষ্ট মোট মুনাফা ও শ্রমিকদের প্রাপ্ত মজুরির মধ্যে স্পষ্ট বৈষম্য বিদ্যমান। বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকলেও শ্রমিকদের মজুরি এখনও জীবনযাত্রা উপযোগী পর্যায়ে পৌঁছেনি। উৎপাদন ব্যয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার চাপ প্রায়ই শ্রমিকদের ওপর স্থানান্তরিত হয়, যার ফলে শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। বর্তমানে প্রায় ৪ মিলিয়ন শ্রমিক এই খাতে কর্মরত, যাদের ৬০ শতাংশেরও বেশি নারী। 

নারী শ্রমিকদের শ্রমশক্তিতে অন্তর্ভুক্তি অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটি বড় অর্জন হলেও নিরাপদ কর্মসংস্থান, জেন্ডার সংবেদনশীল কর্মপরিবেশ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণ সীমিত। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ক্রেতাদের আস্থার সংকট, রফতানি বাজারে প্রতিযোগিতা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ঘাটতি এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা সব মিলিয়ে শিল্পটি বর্তমানে গভীর অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

এই অবস্থায় পোশাক খাতের সংকট নিরসনে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেন, পোশাক শিল্পের অস্থিরতা কমাতে মানবিক জীবনযাপন উপযোগী জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা ও তা বাস্তবায়ন করতে হবে। কোনো শ্রমিকের মজুরি যেন দারিদ্র্যসীমার থেকে কম না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

সভাপতির বক্তব্যে শ্রমিকনেতা আবুল হোসেন বলেন, গার্মেন্টস শিল্পের বিদ্যমান সমস্যার সমাধানে মালিক-শ্রমিক ও সরকারসহ সব পক্ষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। 

টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এম এম আকাশ, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ) যুগ্ম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের হাওলাদার, মহিলা পরিষদের সভাপতি ফৌজিয়া মোসলেম, এএফডাব্লিউএর বাংলাদেশ প্রতিনিধি আরিফুর রহমান, গার্মেন্ট ও সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি ইদ্রিস আলী, মহিলা পরিষদের সভাপতি ফৌজিয়া মোসলেম, সেফটি অ্যান্ড রাইটসের নির্বাহী পরিচালক সিকান্দার আলী মিনা, গার্মেন্টস লেবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক শামীমা আক্তার, গ্রোইং টুগেদার ওপিসির এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান এম আনোয়ার এবং এএফডাব্লিউএর বাংলাদেশ কমিটির সদস্য সচিব সুলতানা বেগম।

ডার্ক টু হোপ/এসএইচ 
মতামত লিখুন:
http://darktohope.org/ad/1763179181.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

বিবিসির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ট্রাম্পের, ১০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি
স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল, শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছে জাতি
রাজারবাগ পুলিশ স্মৃতিস্তম্ভে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা-আইজিপির শ্রদ্ধা
আলোচিত সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী শ্যোন অ্যারেস্ট
দিল্লি-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়েতে একসঙ্গে ১০ যানবাহনের সংঘর্ষ, বহু হতাহত
অর্থনীতি- এর আরো খবর
Email: [email protected]
© 2024 Dark to Hope
🔝