পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের সঙ্গে পরিবারের সাক্ষাতকারের অনুমতি না দেওয়ায় তীব্র বিক্ষোভের ফলে শেষপর্যন্ত ইমরান খানের পরিবারকে সাক্ষাতের অনুমতি দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। প্রাথমিকভাবে দুর্নীতির মামলায় রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী ইমরানের সঙ্গে তার বোন ডা. উজমা খানকে সাক্ষাতের অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বোন উজমা খানুম।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে উজমা খানুম জেলের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় জেলের বাইরে কয়েকশ পিটিআই কর্মী জড়ো হয়ে ইমরানের স্বাস্থ্য ও পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বচ্ছতা দাবি করেন।
গত তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে পারেনি তার পরিবারের কেউ। এই ঘটনায় উদ্বেগ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে দেশটি জুড়ে। এমনকি তিনি মারা গেছেন বলেও গুঞ্জন উঠে।
ইমরান খানের মৃত্যু গুজব দিন দিন তীব্র হলেও তার কোনো খোঁজ দিচ্ছিল না দেশটির বর্তমান সরকার ও রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারা কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন পর তার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পান তার বোন।
জেল থেকে বেরিয়ে উজমা জানান, তিনি (ইমরান খান) অত্যন্ত রেগে বলেছিলেন যে তারা তাকে মানসিক নির্যাতন করছে। তবে ইমরান খান পুরোপুরি সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন উজমা। আধা ঘণ্টার সাক্ষাৎ শেষে উজমা খানুম জানিয়েছেন, তার ভাইকে সারাদিন জেলের একটি কক্ষে রাখা হয়েছিল। বাইরে যেতে দিচ্ছে খুব অল্পসময় এবং কারও সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতেও দিত না জেল কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার আদিয়ালা জেল ও ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বাইরে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতে বাধার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছিল পিটিআই। দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়া (কেপিকে) মুখ্যমন্ত্রী সোহেল আফ্রিদি জানান, অক্টোবর ২৭ থেকে কেউ ইমরান বা তার স্ত্রী বুশরা বিবির সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। এই ঘটনায় ক্ষোভ বেড়েছে দেশটিতে।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ