Publish: Tuesday, 2 December, 2025, 7:58 AM

বঙ্গোপসাগরে সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ভোলার লালমোহনের নিখোঁজ ১৩ জেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। নিখোঁজের ২০ দিন পর তাদের খোঁজ মিলেছে ভারতে। তবে ভারতের কোন থানায় রয়েছেন তা জানা যায়নি। এতে স্বস্তি ফিরে পেয়েছে নিখোঁজ জেলেদের পরিবার ও স্বজনরা।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে থাকা বাকপ্রতিবন্ধী মো. সাব্বির হোসেনের ইমো থেকে ফোন আসে তার মা নাজমা বেগমের কাছে। এ সময় সে কোনো কিছু বুঝিয়ে না বলতে পারলেও নিজের চোখের সামনে ভার্চুয়ালি সন্তানকে দেখে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পরে তার ফোন দিয়ে এক-এক করে অন্য ১২ জনও কথা বলেন পরিবারের সঙ্গে।
জেলেরা জানান, গভীর সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে দিক হারিয়ে ভুল করে ভারতীয় জলসীমানায় ঢুকে পড়েন। পরে সেখান থেকে ভারতীয় নৌ-পুলিশ তাদের আটক করে নিয়ে নিকটবর্তী একটি থানায় সোপর্দ করেন। তবে তারা কোন থানায় রয়েছেন তা বলতে না পারলেও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেই আছেন বলে জানিয়েছেন।
নিখোঁজ জেলেদের সন্ধান পাওয়ার খবর শুনে মঙ্গলসিকদার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. এরশাদ উকিল জেলেদের বাড়িতে আসেন। তিনি খোঁজখবর নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে তিনি জানান, বর্তমানে জেলেদের ফিরিয়ে আনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কাজ করা হবে। আশা করি, খুব শিগগিরই তারা নিজেদের পরিবারের কাছে ফিরতে পারবেন।
এদিকে, দীর্ঘ ২০ দিন পর নিখোঁজ জেলেদের খোঁজ পাওয়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছে তাদের পরিবার ও স্বজনদের মধ্য। দ্রুত পরিবারের মাঝে ফিরিয়ে দিতে প্রশাসনের কাছে জোড় আবেদন জানান জেলেদের পরিবার ও এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, গেল ১১ নভেম্বর ভোলার লালমোহন থেকে ফারুক মাঝির নেতৃত্বে ১৩ জন মাঝি মাল্লা গভীর সাগরে মাছ শিকারের উদ্দেশ্য যাত্রা করেন। পরে চরফ্যাশনের সামরাজ মাছ ঘাট থেকে এক সপ্তাহের বাজার সামগ্রী নিয়ে পুণরায় সাগরের উদ্দেশ্যে ট্রলারটি ছেড়ে যান। এর একদিন পর থেকেই পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ট্রলারটি। এরপর থেকে নিখোঁজ হন তারা।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন— খোকন মাঝি, সাব্বির, হেলাল, মাকসুদুর রহমান, শামিম, সজিব, নাছির, জাহাঙ্গীর এবং একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাতিরখাল এলাকার মাকসুদ, ফারুক, আব্দুল মালেক, আলম ও ফারুক মাঝি।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ