ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট লেওটোবি লাকি-লাকি আগ্নেয়গিরিতে ভয়াবহ অগ্নুৎপাতের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ১০ কিলোমিটার (৬ দশমিক ২ মাইল) ওপরে উঠে গেছে ছাই। পরিস্থিতি বিবেচনায় আগ্নেয়গিরির সতর্কতার মাত্রা সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত করেছে কর্তৃপক্ষ।
দেশটির ভূতাত্ত্বিক সংস্থার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইস্ট নুসা তেঙ্গারা প্রদেশে অবস্থিত মাউন্ট লেওটোবি লাকি-লাকি আগ্নেয়গিরিতে অগ্নুৎপাত হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে প্রথম অগ্নুৎপাত হয়, যা প্রায় ৯ মিনিট স্থায়ী হয়। পরে আজ বুধবার সকাল ৯টা ২১ মিনিটে আবার অগ্নুৎপাত ঘটে, তখন ছাই ছড়ায় ৮ কিলোমিটার উচ্চতায় এবং স্থায়িত্ব ছিল প্রায় ৩ মিনিট।
ভূতাত্ত্বিক সংস্থার প্রধান মুহাম্মদ ওয়াফিদ জানান, আগ্নেয়গিরির সক্রিয়তা সোমবার থেকেই অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে যায়। এ কারণে মঙ্গলবার রাতেই সতর্কতার মাত্রা বাড়ানো হয়।
মুহাম্মদ ওয়াফিদ বলেন, ‘ভারী বৃষ্টিপাত হলে “আগ্নেয় কাদার” স্রোতের আশঙ্কা রয়েছে, এ জন্য আশপাশে বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে হবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় ছয় থেকে সাত কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মানুষকে সরে যেতে বলা হয়েছে।’
স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার কর্মকর্তা অ্যাভেলিনা মানগোটা হাল্লান বলেন, ‘আগ্নেয়গিরির নিকটবর্তী গ্রামগুলো থেকে বহু মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে লেওটোবি লাকি-লাকির একটি বড় অগ্নুৎপাতে ১০ জনের মৃত্যু হয় এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
এদিকে ইন্দোনেশিয়া সরকার জানিয়েছে, আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের প্রভাবে ইস্ট নুসা তেঙ্গারা প্রদেশের মৌমেরে এলাকায় অবস্থিত ফ্রান্সিসকাস জাভেরিয়াস সেদা বিমানবন্দর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে। তবে বালিগামী বা বালি থেকে ছেড়ে যাওয়া কোনো ফ্লাইট এতে প্রভাবিত হয়নি বলে জানিয়েছে বালি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
ইন্দোনেশিয়ায় ১২০টির বেশি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরের রিং অব ফায়ারে অবস্থিত, যা একাধিক টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে হওয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প ও অগ্নুৎপাত ঘটায়।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ