Publish: Saturday, 12 July, 2025, 3:57 PM

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াজ-কানেলের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (১২ জুলাই) মার্কিন গণমাধ্যম এপি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের হাভানায় রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন-পীড়নের অভিযোগে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আলভারো লোপেজ মিয়েরা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাজারো আলবার্তো আলভারেজ কাসাসকেও ব্ল্যাকলিস্ট করা হয়েছে।
এক্স-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে মার্কিন সিনেটর ও পররাষ্ট্র দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মার্কো রুবিও অভিযোগ করেন, কিউবা সরকার দুর্নীতিতে জড়িত, বিশেষ করে ২০২১ সালের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ও হাভানার সংঘর্ষের ঘটনায়। তিনি লেখেন, কিউবান সরকারের প্রতিবাদকারীদের উপর নির্মম দমন-পীড়নের চার বছর পূর্তিতে, যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তর কিউবান শাসকদের ও তাদের সহযোগীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি ও তাদের জীবিত থাকার প্রমাণ দাবি করছে।
কিউবান কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছাকৃতভাবে কিউবার অর্থনৈতিক সংকটকে কাজে লাগিয়ে ২০২১ সালের অস্থিরতা উসকে দেয়, যাতে সরকার পতনের পরিবেশ তৈরি হয়।
এর আগে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র তিনজন কিউবান বিচারক ও এক প্রসিকিউটরের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়, যাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী ও অধিকারকর্মী লুইস রোবলেসকে কারাদণ্ডে ভূমিকা রাখার অভিযোগ রয়েছে। ২০২৫ সালে প্রায় পাঁচ বছর কারাভোগের পর রোবলেস মুক্তি পান।
উল্লেখ্য, ১৯৬০-এর দশক থেকে কিউবা যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওবামা প্রশাসনের কিউবার সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা উল্টে দেন এবং চলতি বছর কিউবাকে আবারও সন্ত্রাসে মদদদাতা রাষ্ট্রের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন।
রাশিয়া ও চীন যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞার নিন্দা করেছে। মে মাসে কিউবার রাষ্ট্রীয় পত্রিকা গ্রানমা-তে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ কিউবার বিরুদ্ধে দেওয়া ‘অবৈধ’ অর্থনৈতিক অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
সূত্র : এপি।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ