Publish: Sunday, 4 May, 2025, 11:34 AM

রাজধানীর বিভিন্ন ফার্মেসি ঘুরে দেখা যায় অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে সকলেই কিনেছেন গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ। এমনকি সবচেয়ে বেশি বিক্রির তালিকায় রয়েছে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ। দোকানিরা জানান, ৯০ ভাগ প্রেসক্রিপশনেই গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ লেখা হয়।
পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ। যা মোট ওষুধ বিক্রির ৩৫ ভাগ। পেটের সমস্যা সারাতেই বছরে রোগীদের ব্যয় হাজার কোটি টাকার বেশি।
চিকিৎসকেরা বলছেন, নিয়মিত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেলে শারীরিক নানা সমস্যার পাশাপাশি ক্যানসারও হতে পারে।
ঔষধ শিল্প সমিতির হিসেবে, দেশে মোট বিক্রি হওয়া ওষুধের ৩৫ ভাগ খাদ্যনালীর রোগের, হার্ট ও রক্তনালীর ১৩ ভাগ। সংক্রমণ প্রতিরোধী ওষুধ ১২ ভাগ, স্নায়ুতন্ত্রের রোগের ১০ ভাগ, ফুসফুসের রোগের ১০ ভাগ, পেশি ও কঙ্কালতন্ত্রের ১৭ ভাগ এবং অন্যান্য রোগের ৩ ভাগ ওষুধ বিক্রি হয়।
ঔষধ শিল্প সমিতির কোষাধ্যক্ষ মুহাম্মদ হালিমুজ্জামান বলেন, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের বিক্রি দিন দিন বাড়ছেই। এখন পর্যন্ত সব থেকে বহুল ব্যবহৃত ওষুধ এগুলো।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবারের চাহিদা বেড়েছে। অতিরিক্ত তেল-চর্বি ও মশলাযুক্ত খাবার পরিপাকতন্ত্রের রোগ বাড়াচ্ছে। সেজন্য খাদ্যনালীর রোগের ওষুধ বিক্রি বেশি।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের কারণে পাকস্থলী ক্যানসারের মতো ভয়াবহ রোগ, অন্যদিকে কিডনি অকার্যকরের মতো ভয়াবহ রোগও হয়ে যায়। আমরা দেখি, যারা দীর্ঘদিন গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খায়, তারা হঠাৎ কোথাও পড়ে গেলে মাঝার হাড় ফেটে বা ভেঙে যায়। এটি পরোক্ষভাবে হয় এই ওষুধের জন্য। চিকিৎসকের যেমন প্রেসক্রিপশন লেখার সময় বিজ্ঞানসম্মত হওয়া দরকার, তেমনি রোগিরও উচিত বিজ্ঞানসম্মতভাবে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবন করা।’
দুইশর বেশি কোম্পানি বছরে ৩০ হাজার কোটি টাকার ওষুধ বিক্রি করে। এর মধ্যে সিংহভাগ আয় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বিক্রি থেকে।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ