রাজধানীর কেরানীগঞ্জে ‘জাবালে নুর টাওয়ার’ নামের একটি বহুতল ভবনের ভূগর্ভস্থ গুদামে লাগা আগুন সাত ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর ৫টা ৩৭ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
এরপর ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
এ ঘটনায় ওই ভবনে বসবাসরত ৪২ জন বাসিন্দাকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগুন লাগা ভবনটি ১০ তলাবিশিষ্ট। এটি নুরে আলম ও মো. ফারুক হোসেন নামের দুই ব্যক্তির মালিকানাধীন। ভবনটির ভূগর্ভস্থ, প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় কাপড়ের গুদাম ও দোকান আছে। তৃতীয় থেকে দশম তলা পর্যন্ত আবাসিক ফ্ল্যাট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এদিন বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে। ভবনে বসবাসরত বাসিন্দারা তাদের মালামাল সরিয়ে এনে পার্শ্ববর্তী আগানগর কবরস্থানে রেখেছেন। বাসিন্দারাও সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন। ঘটনাস্থলটি সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের সদস্যরা ঘিরে রেখেছেন। আগুনের খবর পেয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় করছেন।
আগুন নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের নেতৃত্বে আছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘গুদামটিতে বিপুল পরিমাণ কাপড়, ঝুট কাপড় ও সুতা মজুদ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস আগুনের তীব্রতা কিছুটা কমিয়ে এনেছে। আমরা আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
জাবালে নুর টাওয়ারের বাসিন্দা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ভোর সাড়ে চারটার দিকে ধোঁয়া ও আগুনের কুণ্ডলী দেখতে পাই। তখন চিৎকার করে পরিবার-পরিজন নিয়ে নিচে নেমে আসি। তখন আশপাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারাও ছোটাছুটি করে নিচে নেমে আসে।’
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে এসেছেন জানিয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উমর ফারুক বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ চলমান আছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফায়ার সার্ভিসকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ