উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। ভোরের আকাশে কুয়াশার স্তর ঘন হতে শুরু করে। কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে থাকে মাঠ-ঘাট, পথ-প্রান্তর ও ফসলি জমি। হিমেল হাওয়া বয়ে যায় সকালজুড়ে। শীত মৌসুম আসার পর থেকে ১৪ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা উঠানামা করলেও আজ একলাফে তাপমাত্রা নেমেছে ১৩ ডিগ্রির ঘরে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা নেমেছে ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সকাল ৬টায় বাতাসে আর্দ্রতারপরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ, ৯টার সময়ে বাতাসের আর্দ্রাতা ৬১ শতাংশ।
দেখা যায়, ফজরের পর রাস্তাঘাট প্রায় জনশূন্য থাকে। সূর্য উঠলেও শীতের কাপড় নামানো যায় না শরীর থেকে।
তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ছয় দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ছিল পর্যায়ক্রমে—বুধবার ১৪ দশমিক ৩, মঙ্গলবার ১৪ দশমিক ৬, সোমবার ১৪ দশমিক ৫, রোববার ১৪ দশমিক ৭, শনিবার ১৪ দশমিক ২ এবং শুক্রবার ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েকদিন ধরে স্থির থাকা শীত আজ আরও বেড়েছে। তাপমাত্রা নেমেছে ১৩ ডিগ্রির ঘরে নামায়।
হঠাৎ তীব্র শীতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তিও বেড়েছে। পাথর শ্রমিক আকালু জানায়, ভোর সময়ে ডাহুক নদীতে পাথর উত্তোলন করার জন্য যেতে হয়। এমন শীতের সকালে নদীর মধ্যে ডুব দিয়ে পাথর তুলতে ভারী কষ্ট। আজকে প্রচুর ঠান্ডায় কাজ করা যাচ্ছে না ।
ভ্যানচালক রহিম উদ্দীন জানান, ভোরে বের হলেই হাত-পা জমে আসে, খুব ঠান্ডা লাগে। আবার দুপুরে গরমে ঘেমে উঠতে হয়।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘রাতে শীত বাড়ে, আর সকালে সূর্যের তাপে তাপমাত্রা দ্রুত বাড়তে থাকে। আজ ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। চলতি মাসের শেষ দিকে হালকা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।’
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ