শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমায়েগির তাণ্ডবে পূর্ব এশিয়ার দুই দেশ ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামে অন্তত ১৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবশেষ খবর অনুযায়ী, ফিলিপাইনে আঘাতের পর এটি ভিয়েতনামের মধ্যাঞ্চল অতিক্রম করে। এখন পশ্চিমে কম্বোডিয়া ও লাওসের দিকে এগোচ্ছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) টাইফুনটি ১৪৯ কিলোমিটারে বেগে ফিলিপাইনে আঘাত হানে এবং এতে কমপক্ষে ১৮৮ জনের প্রাণ যায়।
অন্যদিকে, শুক্রবার সকালে ভিয়েতনামে মৃত্যু হয়েছে অন্তত পাঁচজনের। খবর বিবিসির।
বিবিসি জানায়, ভিয়েতনামে মধ্যাঞ্চলের উপকূলীয় শহরগুলোতে টাইফুন কালমায়েগির তাণ্ডবের ক্ষতির চিত্র ধরা পড়েছে। প্রবল বাতাসে গাছ উপড়ে পড়েছে। বাড়িঘরের ছাদ উড়ে গেছে, বড় বড় জানালা ভেঙে গেছে। হাজার হাজার মানুষ স্কুল ও অন্যান্য সরকারি ভবনে আশ্রয় নিয়েছেন। ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
দেশটির সরকার দেশজুড়ে দুর্যোগ পরিস্থিতি ঘোষণা করেছে। প্রশান্ত মহাসাগরে আরেকটি টাইফুন তৈরি হচ্ছে। ভিয়েতনাম কর্তৃপক্ষ নিচু এলাকায় বন্যা সতর্কতা জারি করেছে। মধ্য ভিয়েতনামে গত সপ্তাহে রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়, যা ৫০ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়।
ভিয়েতনামে বেশ কয়েকটি বিমানবন্দর ও এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ রয়েছে। বহু মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দেশটিতে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগ অতিক্রম করতে শুরু করে। দাক লাক প্রদেশের অনেক বাসিন্দা জানান, বন্যায় তাদের বাড়িঘর ঝড়ে ভেঙে গেছে বা বন্যায় ভেসে গেছে।
এর আগে, একই ঝড় ফিলিপাইনের কিছু অঞ্চল ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে। ভারী বৃষ্টিতে দেশটিতে বন্যা দেখা দেয়। ফিলিপাইনে নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১৩৫ জন। বৃহস্পতিবারও ফিলিপাইনে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ১১৪।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ