Publish: Wednesday, 5 November, 2025, 9:01 PM

ভারতের সিকিম ও নেপালে অবস্থিত হিমালয় পর্বতমালার তৃতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা প্রতিবছর শীতে আগমনীতে দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দেখা দিলেও এবার লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজের থেকে মেঘমুক্ত আকাশে দেখা মিলেছে কাঞ্চনজঙ্ঘার।
কাঞ্চনজঙ্ঘা ভারতের সিকিম ও নেপালে অবস্থান হলেও শীতের আগমনী সময়ে হঠাৎ দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় তার দেখে মেলে। বরফে ঢাকা শৃঙ্গ ভোরের আলোয় জেগে উঠে কখনো সোনালি বা কখনো সাদা রং ধারণ করে মায়াবী কাঞ্চনজঙ্ঘা।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারেজ এলাকা ও সানিয়াজান নদীর ওপর থেকে স্পষ্ট দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা।
ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে দিগন্তজোড়া সাদা রূপালি চূড়া যেন নতুন দিনের সৌন্দর্যে যোগ করেছে অন্য রকম আবেশ। আকাশ পরিষ্কার থাকায় সকাল থেকেই তিস্তা ব্যারেজ ও সানিয়াজান নদী এলাকায় ভিড় করছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও দূরদূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা।
টানা কয়েকদিনের মেঘলা আবহাওয়ার পর গত তিন দিন ধরে, মেঘমুক্ত আকাশে দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারেজ থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা।
এ সময় কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে আসা দর্শনার্থী মেহেদী হাসান শুভ বলেন, ১০কিলোমিটার দূর থেকে এসে সকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পেয়েছি, মনে হয় যেন সাদা বরফে মোড়া কোনো স্বপ্নের পাহাড়। আমরা খুবই আনন্দিত এমন দৃশ্য দেখতে পেয়ে।
এ সময় আর এক দর্শনার্থী মনিরুজ্জামান মুন বলেন, কাঞ্চনজঙ্ঘার এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য শীতের অল্প সময়ের জন্য হলেও, তিস্তাপাড়ের সৌন্দর্যকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে। আমি মনে করছি, এই দৃশ্যকে কেন্দ্র করে তিস্তা ব্যারেজকে একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ