কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীতে আইন অমান্য করে মিয়ানমার জলসীমায় ঢুকে পড়া ১৯টি ট্রলারসহ ১২২ জেলেকে ফেরত এনেছে কোস্টগার্ড। এদের মধ্যে ২৯ বাংলাদেশি এবং ৯৩ রোহিঙ্গা রয়েছে।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে কোস্টগার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, টেকনাফ থানাধীন সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ সংলগ্ন এলাকা থেকে বেশ কিছু বাংলাদেশি ফিশিংবোট মিয়ানমার-বাংলাদেশ জলসীমার শূন্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মাছ ধরছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিসিজি আউটপোস্ট শাহপরী কর্তৃক শুক্রবার শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত পিলার-৩ এলাকার আওতাধীন মায়ানমারের নাইক্ষ্যংদিয়া সংলগ্ন নাফ নদীর মোহনা থেকে জালিয়াপাড়া পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান চলাকালীন মাছ ধরার উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে মিয়ানমার-বাংলাদেশ জলসীমানার শূন্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমার জলসীমায় অবস্থানরত ১৯টি বাংলাদেশি ফিশিং বোটসহ ১২২ জেলেকে আটক করা হয়। আটক জেলে ও জব্দ বোটের পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
তিনি আরও বলেন, জেলেদের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড কর্তৃক ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও গত কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশি ফিশিং বোটগুলোর মিয়ানমার ও বাংলাদেশের শূন্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে মাছ শিকারের প্রবণতা অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে আরাকান আর্মি প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশি জেলেদের বোটসহ আটক করে নিয়ে যাচ্ছে।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ