সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে পাল্লেকেলেতে টসে হেরে ফিল্ডিং করেছে বাংলাদেশ। জিতলেই শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ জয় করতে পারবে টাইগাররা। তবে এই ম্যাচে কুশল মেন্ডিসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ২৮৬ রানের লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।
ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। ইনিংসের মাত্র ১৩ রানে ওপেনার মাধুশঙ্কাকে শান্তর ক্যাচে ফেরান তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিশাঙ্কা গড়েন ৫৬ রানের জুটি। এবার নিশাঙ্কাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তরুণ স্পিনার তানভীর।
তৃতীয় উইকেটে কামিন্দু মেন্ডিসের সঙ্গে বড় জুটি গড়তে পারেননি কুশল। একসময় ১০০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যান কুশল মেন্ডিস। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে দৌড়ে এক রান নিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি।
এরপর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ডানহাতি ব্যাটার। ২০১৭ সালে ডাম্বুলায় প্রথমবার বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
এরপর চতুর্থ উইকেটে আসালাঙ্কার সঙ্গে গড়েন ১২৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। ৬৮ বলে ৫৮ রান করে আসালাঙ্কা মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে তাসকিন আহমেদের শিকারে পরিণত হন। কুশল মেন্ডিস–চারিত আসালাঙ্কার জুটিতে এগোচ্ছিল শ্রীলঙ্কা। তাদের তিন শ করাও খুব কঠিন মনে হচ্ছিল না তখন।
পরে ১০ রানের ব্যবধানে আরও তিন উইকেট হারিয়ে পুরোপুরি চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। শেষদিকে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও দুশমন্ত চামিরার ব্যাটে তারা যদিও ২৮৫ রান করতে পেরেছে।
এই ম্যাচ জিততে হলে অবশ্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে। এর আগে ২০২৩ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ২৮০ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল টাইগাররা। বাংলাদেশ জিতলে পাল্লেকেলেতেও কোনো দলের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান তাড়া হবে সেটি।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ