Publish: Tuesday, 1 July, 2025, 11:13 PM

দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার কাজ দ্রুত শেষ করার পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, জুলাই শহীদদের আত্মত্যাগ ও পরিবারের অশ্রু যেন বৃথা না যায়।
আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির আলোচনা সভায় রাজধানীর গুলশানের বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ পরামর্শ দেন।
এ সময় খালেদা জিয়া বলেন, ‘তাদের এই আত্মত্যাগ জাতি চিরকাল মনে রাখবে। গুম, খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার যারা হয়েছেন তাদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে।’
এর আগে অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেওয়া বক্তব্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করে জুলাই শহীদদের ঋণ শোধ করার এখনই সময়। নতুন বাংলাদেশ তৈরির সুযোগ নষ্ট করা যাবে না। একই সাথে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ঐক্যের বদলে বিভক্তি ও অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করবে কি- না ভাবতে হবে বলেও জানান তারেক রহমান।
সভায় তারেক রহমান বলেন, ‘ক্ষমতায় গেলে গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের নামে স্থাপনার নামকরণ করবে বিএনপি। জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থা দেশে ঐক্যর পরিবর্তে বিভক্তিমূলক সমাজ এবং অস্থিতিশীল সরকার সৃষ্টির কারণ হয়ে ওঠতে পারে কিনা? এই বিষয়গুলো গুরত্বসহকারে ভেবে দেখার জন্য আমি সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে বিনীত আহ্বান এবং অনুরোধ করব।’
এর আগে বিকেলে এই সভার উদ্বোধন করেন তিনি। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয় বর্ষপূর্তি কমিটির উদ্যোগে, শহীদ পরিবারের সম্মানে বিশেষ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। অনুষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্বজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ দলের শীর্ষ নেতারা।
অনুষ্ঠানে গণঅভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ পরিবারের সদস্যরাও বক্তব্য রাখেন। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৩৬ দিনের কর্মসূচির প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও পেশাজীবীরাও যোগ দেন।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ